Home খেলাধূলা ক্রিকেট বিশ্বাস রাখার আহ্বান তাসকিনের

বিশ্বাস রাখার আহ্বান তাসকিনের

বিশ্বাস রাখার আহ্বান তাসকিনের

দেশে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ‘মিশ্র অনুভূতির’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে ঘরে ফিরলেন ক্রিকেটাররা। শুক্রবার সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন তারা। যদিও ছিলেন না সাকিব-লিটনসহ দলের একাংশ।

এবারের বিশ্বকাপটা বাংলাদেশ দলের জন্যে অম্লমধুর। ভালো – খারাপের মিশেলে কেটেছে সময়। শুরুটা ভালো হলেও শেষটা রাঙাতে পারেনি দল। খুব করেই সুযোগ ছিল সেমিফাইনালের। একটু এদিক-সেদিক হলেই ভিন্ন হতে পারতো গল্পটা।

তবুও কাগজে-কলমে এটাই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ। জয় এসেছে তিন ম্যাচে, এর আগে কখনো এক আসরে তিন জয় দেখেনি টাইগাররা। শুধু তাই নয়, ১৭ বছর পর বিশ্বকাপের সুপার এইটেও পা রাখে তারা। তবে সুপার এইটে ভালো না করার ব্যর্থতা নিয়েই ফিরতে হলো দেশে।

কথায় আছে, ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।’ আর এখানেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। যা নিয়ে সমর্থকদের মতো হতাশ তাসকিন আহমেদও। দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তি নিয়েই জানিয়েছেন ব্যর্থতার গল্প। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্বীকার করে নিয়েছেন বাস্তবতা।

বিমানবন্দর থেকে বেড়িয়ে তাসকিন বলেন, ‘ইতিবাচক দিক আছে। পুরো টুর্নামেন্টে বোলিং ভালো হয়েছে। সুপার এইটে এসেছি। সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’

আফগানিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে তাসকিন বলেন, ‘এখন আসলে আমরা সবাই ব্যথিত, সমর্থকরাও। বিশেষ করে কয়েকটা ম্যাচ আমাদের জেতার কথা ছিল। শেষ ম্যাচটা আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১২ ওভারে জেতার। সে ইনটেন্ট নিয়েই খেলা শুরু করি। যখন দেখলাম যে হবে না, তখন জেতার চেষ্টা করা হয়, ওটাও পারিনি।’

দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান ছিলেন এবারের বিশ্বকাপ দলে৷ তবে দু’জনের পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা। যা দলকে ভুগিয়েছে বলে স্পষ্ট দাবি করেন তাসকিন। তিনি বলেন-

‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল।’

তবে সমর্থকদের হতাশ না হবার আহবান করেন তাসকিন। বলেন, ‘আপনারা হতাশ হচ্ছেন, স্বাভাবিক। আবার আমরা আপনাদের ভালো জয় উপহার দেব। বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর।’