মিয়ানমারের উৎখাত হওয়া এমপিরা গড়লেন এক নতুন ছায়া সরকার

অবশ্যই পরুন

মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একটি নতুন সরকার গঠন করেছে দেশটির উৎখাত হওয়া এমপিরা। তাদের গোপন ‘সংসদ’ শুক্রবার একটি নতুন ছায়া সরকারের নাম ঘোষণা করেছে। এ সরকারের প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে আটক হওয়া নেত্রী অং সান সু চিকে। অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর রাজনীতিবিদদেরও রাখা হয়েছে এ সরকারে।

সু চিকে আটক করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটিতে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ সময় মিয়ানমারজুড়ে ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়। কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক সরকার প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে এ আন্দোলন দমন করতে চাচ্ছে।

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি তোলার সাথে সাথে আন্দোলনকারীরা সরকারে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা বাড়ানোর কথা বলছেন। বহু বছর ধরে এসব সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর দাবি সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মিজদের কাছে গুরুত্ব পায়নি।

দ্য কমিটি রিপ্রেজেন্টিং পিড্যাংজু হলুটাও (সিআরপিএইচ) নামে মিয়ানমারের আইনপ্রণেতাদের এক গোষ্ঠী একটি ছায়া সংসদ পরিচালনা করে আসছে। এর অধিকাংশ সদস্যই অং সান সু চির রাজনৈতিক দলের। শুক্রবার গোষ্ঠীটি তাদের সরকারের নেতাদের নাম ঘোষণা করে।

‘জাতীয় ঐক্য সরকার’ নামে এ সরকারের নামকরণ করা হয়েছে। এতে স্টেট কাউন্সেলর হিসেবে অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে উইন মিন্টকে রাখা হয়েছে। অন্যান্য নেতাদের মতো উইন মিন্টকেও জান্তা সরকার গৃহবন্দী করে রেখেছে।

সিআরপিএইচ’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গণতান্ত্রিক নেতা মিন কো নাইং বলেছেন, এ ছায়া সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক সংখ্যালঘু কাচিন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক সংখ্যালঘু কারেন নেতাকে পদ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সরকার গঠন করেছি যেখানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু জাতিগত গোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছেন।’

মন্ত্রীদের তালিকায় দেখা যায় চিন, শানি, মন, কারেন্নি ও তাং গোষ্ঠীর নেতারা রয়েছেন।

মিন কো নাইং বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনের ভিত্তিতে, দেশব্যাপী অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন ও সংখ্যালঘু জাতিগত গোষ্ঠী থেকে রাজনীতিবিদদের পছন্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এটির শেকড় থেকে উপরে ফেলতে হবে, এর বিনাশে আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে।’

তিন আঙ্গুলের প্রতিবাদী প্রতীক দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র জনগণই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।’

জান্তা সরকার জানিয়েছে, সিআরপিএইচ’র সাথে জড়িত যে কেউ ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অপরাধ করছে। এছাড়া শত শত খ্যাতনামা রাজনৈতিক কর্মী ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সামরিক সরকার। এদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন ছায়া সরকারের বিভিন্ন পদে রয়েছেন।

সূত্র : আরব নিউজ/এএফপি

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশে এলেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি

চার দিনের সফরে আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় এসেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ