মুন্সীগঞ্জে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিশি বৈঠকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কাশেম পাঠানের ছেলে মো. ইমন পাঠান (২০) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সাকিব হোসেন (১৯)।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ উত্তর ইসলামপুর এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উত্ত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে রাত ১০টার দিকে উত্তর ইসলামপুর এলাকার জামালের দোকানের সামনে স্থানীয় সৌরভ ও ইমনের লোকজন নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে।
এ সময় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ-মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সৌরভের বাবা জামাল বিচার না মানলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে সৌরভ ও ইমন গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মিন্টু প্রধান, ইমন ও সাকিব ছুরিকাহত হন। ছুরিকাহত ওই ৩ জনের পেটে ও বুকে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। এ সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত মিন্টু ও সাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত আড়াইটার দিকে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টুর শারীরিক অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, উত্তর ইসলামপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।