কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার যে উদ্দেশ্যে বরাদ্দ দেয়, সে লক্ষ্য অর্জনে অর্থের যথাযথ ও সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে। প্রকল্প গ্রহণে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। যেনতেন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিলে চলবে না।
রোববার (৭ মার্চ) কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) ‘সার্বিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি গবেষণায় ও কৃষির উন্নয়নে উদারভাবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। তাই প্রযুক্তিতে বিদেশ নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি টেকসই দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
তিনি বলেন, কেজিএফের গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎপাদন ও ফলন কতটুকু বেড়েছে তার সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে। এ মূল্যায়নের ভিত্তিতে আমাদের ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চল, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা, পাহাড় বা হাওরের প্রতিকূল এলাকায় কীভাবে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা করতে হবে। একইসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও মনিটরিং কার্যক্রমকেও শক্তিশালী করতে হবে।
কেজিএফ চেয়ারম্যান ও বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (হর্টিকালচার) ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ। সার্বিক অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন কেজিএফের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর এবং বর্তমান নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৪টি প্রকল্পের বিপরীতে কেজিএফের বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি টাকা। আর চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৪টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ আছে ৩২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন। কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি সহায়তা দিয়ে থাকে। কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে গবেষণা এবং উন্নয়নে এটি কাজ করে।