প্রথম টেস্টে প্রায় এক তরফা জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টে লড়াইটা বেশ জমল। বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে শেষ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে হাসান আলীর তুখোড় বোলিংয়ে বাবর আজম শিবির জিতেছে ৯৫ রানের ব্যবধানে। দুই ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি জিতল পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশ দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৭০ রানের টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তান। লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করেছিল ২৭২ রান। জবাবে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দুই দলই ভালো করে তুলনামুলক। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান তোলে ২৯৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ২৭৪ রানে।
লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রোববার চতুর্থ দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ চিল ১ উইকেটে ১২৭ রান। মারক্রাম ৫৯ ও ভ্যান ডার ডসন ৪৮ রানে ছিলেন অপরাজিত।
সোমবার ম্যাচের পঞ্চম দিনে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই বিদায় নেন ভ্যান ডার ডসন। হাসান আলীর বলে বোল্ড তিনি। হয়নি তার ফিফটি, করেন ৪৮ রান। দলীয় ১৩৫ রানে দ্রুত বিদায় নেন ফাফ ডু প্লেসিসও (৫)। হাসান আলীর বলে তিনি এলবিডব্লিউ।
দলের এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে চতুর্থ উইকেটে বাভুমার সাথে হাল ধরেন মারক্রাম। এই জুটিতে আসে ১০৬ রান। ইনিঙসের সবচেয়ে বড় জুটি এটি। ভয়ংকর এই জুটিও ভাঙেন হাসান আলী। টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে বিদায় নেন মারক্রাম। ২৪৩ বলে ১০৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
পরের বলেই দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে আউট করেন হাসানই। পান গোল্ডেন ডাক। এরপর আর প্রোটিয়াদের কেউ দাড়াতে পারেননি। দ্রুতই গুটিয়ে যায় দলটি। শুরুর দিকে হাসান আলী ও শেষের দিকে শাহিন শাহ আফ্রিদি ধসিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার হাসান আলী। শুধু তাই নয়, ম্যাচ সেরার পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন আগুনমুখো বোলিংয়ের কারণে। শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন চারটি উইকেট। সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান।