২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই সৌদি আরবেও বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে কফিল বা কাফালা পদ্ধতি। এই ব্যবস্থা বাতিলের পর কোনো ব্যক্তি নয়, প্রবাসীদের স্পন্সর হবে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরুর এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার মধ্যেপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবান্ধব দেশ সৌদি আরব ও কাতারে জনশক্তি প্রেরণের সাথে সম্পৃত্ত গ্রিনল্যান্ড ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী ও বায়রার সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল হাই এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘কাতার এবং সৌদি আরবে কফিল বা কাফালা পদ্ধতি বাতিল করার বিষয়টি নিয়ে তাদের দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তবে এখনো এটি বাতিল করা হয়নি। যদি বাতিল করা হয় তাহলে খুবই ভালো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা হলে আমাদের কর্মীদের স্পন্সর নিয়ে আর কোনো ঝামেলাই হবে না। যার কাজ সে করবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কাফালা’ কার্যকরভাবে বাতিল করেছে কাতার। এই পদ্ধতি বাতিল হলে প্রবাসী কর্মীদের প্রয়োজনে কফিল পরিবর্তন সম্ভব হবে। চুক্তিতে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী প্রবাসী শ্রমিকরা চলাচলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন। এ ছাড়া ন্যূনতম মজুরি বিধির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের শ্রমিকদের আবাসন ও খাবারের দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটিতে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এক হাজার কাতারি রিয়াল (২৭৫ মার্কিন ডলার) নির্ধারণের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। তবে নিয়োগকর্তারা চাইলে ‘পলাতক’ কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। কাফালা বাতিলের সিদ্ধান্তটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। আইনটি কার্যকর হতে আরো অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে।
শুধু কাতার নয়, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যেই সৌদি আরবেও কফিল বা কাফালা প্রথাটি বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের আগেপরে সৌদি আরবে জনশক্তি প্রেরণ করা হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫১ হাজার ৭৮৬ জন কর্মী গেলেও সেটি কমে ডিসেম্বর মাসে ২৩ হাজার ৩৬২ জনে নেমে আসে।
অপর দিকে কাতারে কর্মী গেছে তিন হাজার ৬০৮ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৯ কর্মী গেলেও করনো-পরবর্তী সময়ের পর ডিসেম্বর মাসে যেতে পারে মাত্র ৯২ জন। সুত্র: নয়া দিগন্ত