আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব সীমারেখা রয়েছে। দল করতে হলে সবাইকে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা তথা দলের রীতি-নীতি ও গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে। কেউই দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়।
আজ (শনিবার) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি একটি বহুমাত্রিক মহাসড়ক। গণতান্ত্রিক চেতনায় আমাদের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু এ সকল মতপার্থক্য আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করতে হবে। সেটা অবশ্যই সাংগঠনিক পরিমণ্ডলে হতে হবে। কেউ দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
তিনি আরো বলেন, সীমারেখার মধ্যে থেকে দলীয় শৃঙ্খলার অনুশাসন মেনে চলতে হবে। দলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব সীমারেখা রয়েছে। কথায়, আচরণে, বক্তব্যে নিজের সীমারেখা অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, দল করতে হলে সবাইকে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা তথা দলের রীতি-নীতি ও গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে।
বিএনপির রাজনীতিরও কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে নালিশ করে বিএনপিই দেশকে নতজানু করেছে, আওয়ামী লীগ নয়। বিএনপি নিজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং এ তত্ত্বের অনুসারী বলে সবক্ষেত্রে গন্ধ খোঁজে।
বাতাসে এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ, অশুভ শক্তি সরকার হঠানোর চক্রান্তে লিপ্ত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের ঐক্য সুসংহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার আঘাত মোকাবিলায় যারা শেখ হাসিনাকে পরাজিত দেখতে চেয়েছিলেন আজ তারাই পরাজিত হয়েছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় সময়ের সাহসী নেত্রী হিসেবে বিজয়ী বীর হিসেবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ইতিহাস মনে রাখবে।