যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথগ্রহণের পর এরইমধ্যে তার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিনেটে শুরু হয়েছে এর অনুমোদন প্রক্রিয়া। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে সিনেটের প্রথম অনুমোদন পেয়েছেন এভ্রিল হেইনেস। তাকে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছেন বাইডেন।
বুধবার ৮৪-১০ ভোটে এভ্রিল হেইনেস-এর নিয়োগ চূড়ান্ত করে মার্কিন সিনেট। ৫১ বছর বয়সী হেইনেস এ পদে প্রথম নারী। তিনি এর আগেও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নানা পদে কাজ করেছেন।
বাইডেন প্রশাসন নতুন মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন সদস্যের দ্রুত অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় এদিন আর কারও নিয়োগ চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার সিনেটের শুনানিতে অংশ নিয়ে পূর্ববর্তী প্রশাসনের ধামাচাপা দিয়ে রাখা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের অনুমতি চেয়েছেন হেইনেস। দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে সৌদি দূতাবাসে খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে সৌদি রাজপরিবারকে রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টার বিষয়টি সামনে আনতে চায় বাইডেন শিবির। শুনানিতে সিনেটর রন ওয়াইডেন এভ্রিল হেইনসকে বলেন, অবিলম্বে বিদায়ী প্রশাসনের অত্যধিক গোপনীয়তা ও আইনহীনতার অধ্যায়টি উল্টে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ভিন্ন মতাবলম্বী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তার সঙ্গে ছিলেন তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতেই ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন খাশোগি। তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই তাকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত অক্টোবরে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা দায়ের করেন নিহতের বাগদত্তা। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতের বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস বলেছেন, ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখছি। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।