দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হেকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম নারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
বৃহস্পতিবার ( ১৪ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আদালত তাকে ১৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানাও করেছেন। এর আগে গত জুলাই মাসে পার্ককে দেওয়া ৩০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে এই রায় দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন প্রণেতারা পার্ককে অভিশংসিত করার পক্ষে রায় দেন। তখন থেকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা হয়। পরে ২০১৭ সালের ১০ মার্চ পার্ককে সাংবিধানিক আদালত চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত করে।
এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিই তার দেশে প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, যাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ২০১৮ সালে ১৮টি অভিযোগের মধ্যে ১৬টিতে তাকে অভিযুক্ত করা হয় পার্ককে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ঘুষ ও জবরদস্তি সম্পর্কিত।
আদালত রায় দেয় যে, তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন-সিনের সঙ্গে মিলে দুর্নীতি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি জায়ান্ট প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এবং রিটেইল চেইন লোটেকে লাখ লাখ ডলার দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিকে লোভনীয় চুক্তি করাতে বাধ্য করেন তিনি। এসব কোম্পানির মালিকানা চোইয়ের। এ ছাড়া তিনি চোই এবং তার মেয়েকে উপহার দিয়েছেন বিপুল অর্থ।