বিবিসি সম্প্রতি তিন পর্বের একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। ‘ডেথ অব বলিউড’ শিরোনামের এই ডকুমেন্টারিতে প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর আগের ও পরের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। উঠে এসেছে নতুন কিছু তথ্য। জড়িয়েছে সুরজ পাঞ্চোলির নামও।
২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জিয়া খানের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, অভিনেত্রী সুরজের সন্তানের মা হতে চলেছিলেন। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও জিয়া খানের মা বলেছিলেন, খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
জিয়া খানের মা বিদেশ থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়েছিলেন যিনি নিশ্চিতভাবে বলেছিলেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। কারণ, জিয়ার গলায় একটি ডিম্বাকৃতির দাগ ছিল যা ওড়না দিয়ে ফাঁসের দাগ নয়। এছাড়াও ছিল ঘাড়ে, মুখে আঘাতের দাগ আত্মহত্যা থেকে হতে পারে না।
বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির তিন পর্বের ডকুমেন্টারিতে। সেই সময়ের সব ঘটনা এবং নানা বিষয় দেখানো হয়েছে সেখানে। জিয়া খানের ছয় পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট, সুরজ পাঞ্চোলির গ্রেফতার হওয়া, সব ঘটনাই দেখানো হয়েছে ডকুমেন্টারিতে।
বিবিসির ডকুমেন্টারিটি ভাইরাল হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। দ্য সান, রেডিও টাইমস, দ্য টেলিগ্রাফ সহ বেশ কয়েকটি ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া রিপোর্ট করেছে জিয়া খানের পরিচয় এবং তার মৃত্যুর পরের ঘটনাগুলো নিয়ে।
সুরজ জিয়াকে খুন করেছেন, নাকি আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন, সেই বিষয়ে এখনও কিছুই প্রমাণিত হয়নি। তবে বিবিসির ডকুমেন্টারিতে নতুন করে তার নাম উঠে আসায় এই তদন্ত আবার আলোর মুখ দেখতে পারে বলে আশা করছেন জিয়া খানের ভক্তরা।
সূত্র: কইমই