কয়েক বছর ধরেই ফেসবুকের সাথে তথ্য শেয়ার করে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

অবশ্যই পরুন

আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ। সোমবার প্রতিষ্ঠানটি তাদের গোপনীয়তা নীতিমালায় পরিবর্তন সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের অবহিত করে। ব্যবহারকারীদের জানানো হয় তারা যদি হোয়াটসআ্যপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে চান তাহলে অবশ্যই নতুন নীতিমালা মেনে নিতে হবে।

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন গোপনীয়তা নীতিমালা থেকে ফেসবুকের সাথে তথ্য আদান-প্রদান সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর তাতেই গণমাধ্যম ও ব্যবহারকারীরা সন্দেহ করছে হোয়াটসঅ্যাপ তার পুরনো নীতিমালা থেকে সরে এসেছে। গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি আর গুরুত্ব পাচ্ছে না।

মুছে ফেলা অনুচ্ছেদে লেখা ছিল- “আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী হয়ে থাকলে ফেসবুকের সাথে তথ্য ভাগাভাগি না করার বিষয়টি বেছে নিতে পারেন।”

তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ২০১৬ সাল থেকেই তারা ব্যবহারকারীদের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সহজ করে তুলতে ফেসবুকের সাথে তথ্য শেয়ার করে আসছে। নতুন করে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। যে অনুচ্ছেদটি মুছে ফেলার কথা বলা হচ্ছে তা ২০১৬ সালের নীতিমালা পরিবর্তনেরই প্রতিফলন মাত্র।

২০১৬ সালের আগস্টে হোয়াটসঅ্যাপ যখন ফেসবুকের সাথে তথ্য আদান-প্রদানের পরিকল্পনা করে তখনই তারা ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। এই তিরিশ দিনের মধ্যে ব্যবহারকারীরা না চাইলে কিছুক্ষেত্রে তথ্য গোপন রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে কেউ যদি সেই সময় তথ্য শেয়ার না করার বিষয়টি বেছে নিয়ে থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানটি সেই গোপনীয়তা রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বর্তমানে অ্যাপটি এই বিশেষ ফিচার সরিয়ে ফেললেও ব্যবহারকারীরা ফাংশন সেটিং এ ‘রিকুয়েস্ট একাউন্ট ইনফো’ অপশনে গিয়ে পূর্বে তথ্য শেয়ারে সম্মত হয়েছিলেন কিনা তা  যাচাই করতে পারবেন।

কিন্তু আগস্টের পর নতুন করে যেসব ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়েছেন এবং পুরোনো ব্যবহারকারী যারা তথ্য শেয়ার করা বিরত রাখার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, তাদের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ গত চার বছর ধরেই ফেসবুকের সাথে শেয়ার করে আসছে।

সোমবারের নতুন এই গোপনীয়তা নীতিতে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয় ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নিরাপত্তার কোনো বিঘ্ন ঘটছে না বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারীদের পাঠানো ছবি, ম্যাসেজ এবং অন্যান্য কনটেন্ট যাদের কাছে পাঠানো হয়েছে তারা ব্যতীত স্বয়ং হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুকও দেখতে পারবে না বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমকে এক করার লক্ষ্যে বহুবার ‘এন্ড টু এন্ড ইনক্রিপশন’ জোরদার করার কথা বলেছেন। কিন্তু তার মানে এই না যে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীদের অন্যান্য তথ্য যেমন তাদের ব্যবহারের মাত্রা ইত্যাদি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি বলছে তারা ব্যবহারকারীদের সহায়তা করতে এবং যোগাযোগ মাধ্যমটির উন্নতির জন্যই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আসছে।

নতুন নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন না আসলেও তা বহু ব্যবহারকারীকে সতর্ক করতে সাহায্য করেছে। হোয়াটঅ্যাপ যে ২০১৬ সাল থেকেই ফেসবুকের সাথে তথ্য শেয়ার করে আসছে অনেক ব্যবহারকারী তা নতুন করে জানার সুযোগ পেয়েছেন। উল্লেখ্য যে ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপকে অধিগ্রহণ করে ফেসবুক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ফাইট ফর দা ফিউচারের’ উপ পরিচালক ইভান গ্রিয়ার বলে, “আমি ফেসবুকের কোনও পণ্যেই বিশ্বাস রাখি না।”

“ফেসবুকের বাণিজ্যের ধরণই হচ্ছে নজরদারি করা। সেটা কখনোই ভুলবেন না।”

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। রোববার (২৪...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ