ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ, এই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রেফারেন্টিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট বাটউইন দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য রয়েল গভর্নমেন্ট অব ভুটান এবং সেটির সংশ্লিষ্ট রুল ফর ডিটারমিনেশন অব অরিজিন অব গুডস ফর বাংলাদেশ ভূটান প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্টের খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলে বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে। চুক্তির আর্টিকেল ২২-এ লেখা আছে এই চুক্তির মাধ্যমে কিছু পণ্যে আমদানি-রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার জন্য দ্রুত দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়নে ক্যাবিনেটের অনুসমর্থনের প্রয়োজন আছে, সেজন্য ক্যাবিনেটে নিয়ে আসা হয়েছিল। ক্যাবিনেট এটি অনুমোদন দিয়েছে।
পাশাপাশি আশপাশের দেশগুলোর সাথে এ ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি করা যায় কি না, যেগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যে সুবিধা হবে সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১০ সাল থেকে ভুটানকে ১৮টি পণ্যে এবং ভুটান বাংলাদেশকে ৯২টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। আর নতুন চুক্তির ফলে ভুটান আরো ১৬টি এবং বাংলাদেশ আরো ১০টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। সেজন্য ক্যাবিনেট থেকে বলা হয়েছে আরো বেশি করে প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) অথবা এফটিএ যতো করা যায়, যাতে বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণ করা যায়।