ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে সাইপ্রাসে ব্রিটিশ এক নারী (৩৯) মারা গেছেন। সোমবার তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে দেশটির বার্তাসংস্থা সাইপ্রাস নিউজ অ্যাজেন্সির (সিএনএ) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সাইপ্রাসের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মুখপাত্র চারাল্যামবোস চ্যারিলাও সিএনএকে বলেছেন, এই মৃত্যুর ঘটনায় ইউরোপীয় মেডিসিনস অ্যাজেন্সি (ইএমএ) তদন্ত করবে।
সাইপ্রাসের নিকোসিয়া জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন ব্রিটিশ ওই নারী। তিনি গত ৬ মে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপের পশ্চিম উপকূলের পাফোস শহরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ভ্যাকসিন নেওয়ার কয়েকদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ব্রিটিশ এই কোম্পানির করোনা টিকা নেওয়ার পর অন্য তিনজনের রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে সাইপ্রাসে। এছাড়া ফাইজারের টিকায় দেশটিতে একজনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার খবর পাওয়া গেছে। এ দু’টি মৃদু রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনাও তদন্ত করছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
অত্যন্ত বিরল রক্ত জমাটের ঘটনায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত করেছে। যদিও ইউরোপীয় মেডিসিনস অ্যাজেন্সি বলছে, ভ্যাকসিনটির ঝুঁকির চেয়ে উপকারিতা বেশি।
আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটার পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে মাথাপিছু হারে টিকাদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাইপ্রাস। দেশটির প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৫৪ জনকে ইতোমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশটির বয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪৯ শতাংশই ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছেন এবং ২১ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই পেয়েছেন।
গত বছরের মার্চে ইউরোপের এই দেশটিতে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ হাজার ৯১১ জন এবং মারা গেছেন ৩৫৪ জন।
সূত্র: এএফপি।