হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি চালু

অবশ্যই পরুন

করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে ভারতীয় ট্রাক চালকরা পণ্য নিয়ে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করবে এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দেড়ঘন্টা বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশর মাঝে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এর আগে করোনা পরীক্ষা ও সনদ ছাড়া চালকরা ট্রাক নিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করায় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেন হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন। এ সময় তার সহিত পৌরসভার সকল কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন বলেন, ভারতে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যা বিশ্বের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে ভারতের অবস্থান বেশ উপরে এমনকি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুব ভয়াবহ অবস্থায় পাশ্ববর্তী দেশ হিসেবে যা আমাদের জন্য বেশ আতংকের। এমনকি সম্প্রতি ১৯ শে মে থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারত থেকে আটকেপড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে প্রবেশ শুরু হয়েছে। ভারত থেকে আগত যাত্রীদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরিক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করছে।

এরপরেও গতকাল করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করা এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও সহকারীদের এদেশে কোন প্রকার পরিক্ষার ব্যবস্থা নেই তেমনি ভারতেও এর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই ভারতীয় ট্রাকের চালক ও হেলপারদের করোনা টিকার কার্ড বা করোনা পরিক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশ করতে একমাস পুবে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশি সিআন্ডএফ এজেন্ট মারফত পত্র দেওয়া হলেও এখন অবধি তা করা হয়নি। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চলবে তারপরেও এখানে সেটি নিশ্চিত করা হয়নি। তাই আমাদের এলাকা যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ এখানে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

একারণে আমার এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশি সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ভারতীয় সিআন্ডএফ এজেন্ট আলোচনা করে আগামী ৩১শে মে থেকে ভারতীয় চালকদের করোনা টিকার কার্ড বা নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে প্রবেশের বা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে বাংলাদেশি সিআন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। এরপরেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা না হলে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে প্রয়োজনে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। রোববার (২৪...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ