করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা ভারত। করোনা পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। এমনকী, ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নিজেও সমালোচিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ধাক্কা খেল মোদির জনপ্রিয়তাও। ভারতীয় ও মার্কিন সংস্থার সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, মোদির জনপ্রিয়তা হু হু করে নেমেছে।
‘মর্নিং কনসাল্ট’ নামে মার্কিন সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী এই মুহূর্তে মোদির জনপ্রিয়তার সার্বিক সূচক রয়েচে ৬৩ শতাংশে। তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন ৩১ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসের থেকে তার জনপ্রিয়তা ২২ পয়েন্ট কমে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে ওই মার্কিন সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার হিসেব রাখছে। এই প্রথম তা একধাক্কায় এতটা কমল বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় সংস্থা ‘সি-ভোটার’-এর সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনের বিষয়ে ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’। সমীক্ষায় এও বিশ্লেষ করে বলা হয়েছে যে, ২০১৪ সালে দেশে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক মানুষ মোদির বিরুদ্ধে মতামত জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ‘সি-ভোটার’-এর প্রতিষ্ঠাতা যশবন্ত দেশমুখ রয়টার্সকে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ভারতে করোনা পরিস্থিতির জন্য মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে ইন্ডিয়ান মেজডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। নরেন্দ্র মোদিকে সুপার স্প্রেডার বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যান্সেটের পক্ষ থেকেও মোদি সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে।
সূত্র: টিওআই।