ইদানিংকালে অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির পোস্ট করা ছবিতে তার মেদহীন চেহারা দেখে মুগ্ধ ভক্তরা। অতীতে যদিও বেশ কিছুটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। শ্বেতা জানিয়েছেন, ছেলে রেয়াংশকে জন্ম দেওয়ার পরেই ধীরে ধীরে স্থূলকায় হতে থাকেন তিনি। ওজন বাড়ার সঙ্গেই বাড়তে থাকে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা। এমন সময় শ্বেতার মেয়ে পলক তিওয়ারি তাকে আবার শরীরচর্চার দিকে মন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়বার মা হওয়ার পর তার ওজন বেড়ে ৭৩ কেজি হয়ে যায়। কাঁধের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু তখনই অভিনেত্রীর কাছে ‘হম তুম অ্যান্ড দেম’ ধারাবাহিকে অভিনয় করার প্রস্তাব আসে। কিন্তু সেই ধারাবাহিকের চরিত্রের জন্য ওজন ঝরানোর প্রয়োজন ছিল তার। তখনই মেয়ে পলক উৎসাহ বাড়িয়ে তোলেন শ্বেতার। ভাল একজন প্রশিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার শরীরচর্চা শুরু করার উপদেশ দেন শ্বেতাকে। অভিনেত্রীর কথায়, “পলক আমাকে বলেছিল এই পেশায় এখনও আমার অনেক কিছু করা বাকি। আমি এখনও ফুরিয়ে যাইনি।” মেয়ের কথাতেই ঘুরে দাঁড়ান অভিনেত্রী। ফিরিয়ে আনেন নিজের পুরনো চেহারা। আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘খতরোঁ কি খিলাড়ি’-র শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী।
দিন কয়েক আগেই শ্বেতার সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্বামী অভিনব কোহলীর ঝগড়া শুরু হয়। অভিনব দাবি করেছিলেন, অর্থ উপার্জনের লোভে অতিমারিকালে বছর পাঁচেকের ছেলেকে একা ফেলেই দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছেন শ্বেতা। ২০১৩ সালে অভিনবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনের আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এর পর স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন শ্বেতা। অবশেষে ২০১৯ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। জীবনের প্রত্যেক পর্যায়ের ওঠাপড়াতেই মেয়ে পলককে বন্ধুর মতো পাশে পেয়েছেন অভিনেত্রী বলে মুখ খুলেছেন গৌরবের সাথে।