spot_img

২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

চলমান লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ লকডাউন বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন হতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কারিগরি কমিটি গতকাল রোববার বৈঠক করে লকডাউন আরো ১ সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে।

আমরা আজ ভার্চুয়াল বৈঠক করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে চলমান লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত  বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজই এ সিদ্ধান্তের সামারি (সারসংক্ষেপ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আজই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে জানান তিনি।

এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারা দেশে আরও এক সপ্তাহ  সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তাভাবনা করছে।

১৪ এপ্রিল থেকে চলমান প্রথম দফার সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হচ্ছে ২১ এপ্রিল।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এদিন দুপুরে জানান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা-ভাবনা করছে।

এর আগে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভায় করোনা সংক্রমণের অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সারাদেশে কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দু’সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছিল। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দু’সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।

দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। পাশাপাশি সামাজিক সমতার বিষয়েও নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সভা।

সভায় স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও অন্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। খোলা রাখা জরুরি সেবার তালিকাও প্রকাশ করার অনুরোধ করেছে কমিটি। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে চলমান লকডাউন-এ চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটির জন্য চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে কমিটি। পরবর্তী সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। নমুনা পরীক্ষা সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে কমিটি ইতোমধ্যে সরকারি নমুনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করার পরামর্শ দিয়েছে। পিসিআর টেস্ট কিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বেসরকারি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মূল্য পূণনির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়। এতে করে যেমন পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে, তেমনিভাবে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসবে ও সাশ্রয়ী মূল্যে পরীক্ষা করা যাবে। সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। এতে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি/বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গর্ভবতী করোনা/নন-করোনা মায়েদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিন্তে করার জন্য অনুরোধ করা হয়। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন ডিএনসিসি হাসপাতালে গর্ভবর্তী মায়েদের একটা কর্নারে বিশেষায়িত (আইসিইউ) ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। প্রতিটি হাসপাতাল তার নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী চেইন অব রেফারেন্স সিস্টেম মেনে চলবেন।

সব মৃদু করোনা রোগীর বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে কোয়ালিটি সেবা নিশ্চিত করার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ