রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে জামালরা খানিকটা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন। অন্যদিকে দশরথ স্টেডিয়ামে উল্লাসে ফেটে পড়লেন নেপালের ফুটবলাররা, একে অপরকে ঝাঁপটে ধরে ভাগাভাগি করলেন আনন্দ। বাল গোপাল মহারজন যেটা পারেননি ১৯৯৯ সালে ফুটবলার। কোচ হয়ে সেটা করে দেখালেন ২২ বছর পর।
১৯৯৯ সাফ গেমসে এই দশরথে বাংলাদেশ আলফাজের একমাত্র গোলে জিতেছিল। ২২ বছর পর ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে স্বাগতিক নেপাল ২-১ গোলে হারিয়ে যেন সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিল।
ম্যাচের দুই গোলেই প্রথমার্ধ। দুটি গোলের পেছনেই ডিফেন্ডারদের দায় রয়েছে। ১৮ মিনিটে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
কর্নার থেকে সুনীল বালের শট বক্সের মধ্যে ক্লিয়ার করতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সঞ্জক রায়ের বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া শট গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ কিছুটা এলেমেলো ফুটবল খেলে। ভুল পাস, ভুল পজিশনের ছড়াছড়ি ছিল। ২৯ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে আগুয়ান গোলরক্ষক জিকোর মাথার উপর দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি ফরোয়ার্ড অনজন বিষ্ঠা। ৪২ মিনিটে আবার ডিফেন্সের ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে।
ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগে বিশাল রায় বক্সের উপর থেকে শট করে গোল করেন। কোচ এ ম্যাচেও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। অনভিজ্ঞ ও তরুণ দুই মেহেদীকে খেলান। ফলে ডিফেন্স ও আক্রমণভাগ দুই জায়গাতেই বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচ অভিজ্ঞ সুফিল, টুটুল হোসেন বাদশা, আব্দুল্লাহ, ইয়াসিন ও মাসুক মিয়া জনিকে নামান। তারা নামার পর ৭৫-৯০ মিনিটে ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ৮২ মিনিটে জামালের কর্নার থেকে সুফিল হেড করে স্কোরলাইন ২-১ করেন।
গোল দেওয়ার পরই বাংলাদেশ জেগে উঠে। ৮৭ মিনিটে জামালের বক্সের সামনে থেকে নেওয়া শট পোস্টের একটু উপর দিয়ে যায়। ৬ মিনিট ইনজুরি সময়ে বাংলাদেশ ২ কর্নার পেলেও গোল আদায় করতে পারেনি। কোচ অভিজ্ঞদের দিয়ে একাদশ সাজালে হয়তো ফলাফল এ রকম নাও হতে পারতো।