আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

অবশ্যই পরুন

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে শুক্রবার আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। আগেই দুই ম্যাচ জিতে থাকা স্বাগতিকরা এই ম্যাচও বেশ সহজেই জিতেছে। এর মাধ্যমে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ড উলভসের দেয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। এদিন ওপেনিংয়ে নামেননি অধিনায়ক সাইফ হাসান। তার জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মাহমুদুল হাসান জয়।

ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থেকেছেন তামিম। দলীয় ৮ ও ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ইয়াসির আলীও ২ রান করে ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১০ রান। ম্যাচে আইরিশদের সাফল্য এই পর্যন্তই। সেখান থেকে ম্যাচটা শেষ করে আসেন দারুণ ছন্দে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৬ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা।

মাহমুদুল হাসান জয় ১৩৫ বলে ৮০ ও তৌহিদ হৃদয় ৯৭ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের দৃঢ়তায় ৫১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়ার পাশাপাশি সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। আয়ারল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেটই নিয়েছেন পিটার চেজ।

এর আগে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড উলভস। মুকিদুল ইসলামের বলে আকবর আলীর কাছে ক্যাচ দিয়ে ১৭ বলে ১১ রান করে ফেরেন সিরিজে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া স্টিফেন দোহেনি।

দ্বিতীয় উইকেটে মার্ক অ্যাডায়ারকে নিয়ে ২৬ রান যোগ করেন ওপেনার জেরেমি লালোর। ২৬ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক হ্যারি ট্যাক্টর। এরপর ৫ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সুমন।

পঞ্চম উইকেটে লরকান ট্যাকারকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন অ্যাডায়ার। দলীয় ১০০ রানে স্পিনার রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন তিনি। এর আগে খেলেন ৪৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস। এরপরই রাকিবুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ২৪ রান করা লরকান ট্যাকার।

৬ রানে গ্যারেথ ডিলানি আউট হলে ১১২ রানেই ৭ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড উলভস। বিপর্যয়ের মুখ থেকে দলকে সম্মানজনক স্কোরের দিকে নিয়ে যান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি মিস করা রোহান প্রিটোরিয়াস ও গ্রাহাম হোম।

৮ম উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৫৭ রান। ৪৫ বলে ৩৫ রান করা প্রিটোরিয়াসকে আউট করেন অধিনায়ক সাইফ। শেষ পর্যন্ত গ্রাহাম হোম ৫৯ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকলেও আইরিশরা ১৮২ রানে গুটিয়ে যায়।

বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে সুমন খান ও মুকিদুল ইসলাম তিনটি করে এবং সাইফ হাসান ও রকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া উইকেটের পেছনে একাই ৫টি ক্যাচ নিয়েছেন আকবর আলী।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচই জিতল স্বাগতিকরা। সিরিজের শেষ ম্যাচে রবিবার মাঠে নামবে দুই দল।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। রোববার (২৪...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ