ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আন্তর্জাতিক পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের শেয়ার করা ‘টুলকিট’ বিতর্ক নয়া মোড় নিয়েছে দিশা রবির গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই বিতর্কিত ‘টুলকিট’টি সম্পাদনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। এরপর দিশাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন গ্রেটা। টুইট করে প্রতিবাদ জানালেন দিশার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ওই টুইট করেন গ্রেটা। ঠিক কী লিখেছেন তিনি? বরাবরের মতো স্পষ্ট ভাষাতেই আক্রমণ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘বাকস্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল হলো অ-আলোচনাযোগ্য মানবাধিকার। এটা যেকোনো গণতন্ত্রেই মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।’ সেইসাথে তিনি একটি হ্যাশট্যাগও জুড়ে দেন “StandWithDishaRavi”। এরই পাশাপাশি ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ গ্রুপের একটি বিবৃতিও যোগ করেন তিনি। গ্রেটার শুরু করা ‘ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার’ প্রচার অভিযানের ভারতীয় শাখার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ২১ বছরের দিশা। সেই গ্রুপের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে তারা দিশার পাশেই আছে।
গ্রেটার ‘টুলকিট’ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় চলতি মাসের গোড়ায়। দিল্লি পুলিশের দাবি, বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম মুখ গ্রেটার শেয়ার করা ওই ‘টুলকিট’ আসলে খলিস্তানিদের তৈরি। তার মধ্যে সহিংসতা উসকানি দেয়ার যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। আছে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ‘সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ শুরু করার বার্তা। এমনকি, ২৬ জানুয়ারির ঘটনার সাথে ‘টুলকিটে’ দেয়া উসকানির সম্পর্ক রয়েছে বলেও পুলিশের ধারণা। যদিও গ্রেটা সেটি পরে শেয়ার করেছেন, তবুও খলিস্তানিদের মতো ভারত-বিরোধী শক্তিরা যে ষড়যন্ত্র সাধারণতন্ত্র দিবসে করেছিল, তার সঙ্গে এর উসকানির সাযুজ্য রয়েছে বলেই মত পুলিশ প্রশাসনের।
গ্রেটা পরে তার পোস্ট মুছে দিলেও ততক্ষণে তা আন্তর্জাতিক মহলে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। যদিও তার জবাবে নতুন করে টুইট করে গ্রেটা জানিয়ে দেন, এরপরও তিনি কৃষকদের পাশেই আছেন। এবার সেই বিতর্কতি ‘টুলকিট’ শেয়ার করার কারণেই দিশাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। ‘টুলকিট’ ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপেক্ষা ছিল গ্রেটা এই বিষয়ে কী বলেন। অবশেষে তিনি টুইট করায় এই বিতর্কে নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন