কুমিল্লায় সেনা সদস্য আবদুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দেন। আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জেল হাজতে রয়েছেন। শুধুমাত্র কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালাতক রয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদারিয়া কালোনী এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ উপজেলার চন্দন কলাবাগান এলাকার মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জনি, বাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার উথারিয়া পাড়া এলাকার মো. রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মশাখালী এলাকার আকাশী দাসের ছেলে প্রদীপ দাস। এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকার মৃত লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছ।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও এলাকার হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান সেনা সদস্য হিসেবে বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর বাড়ি থেকে বগুড়া সেনানিবাসে যোগদানের উদ্দেশ্যে ট্রেন অথবা বাসে রওনা হয়। পরদিন ২২ অক্টোবর আবদুর রহমানের পরিবার জানতে পারে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে কাটা জখম অবস্থায় আবদুর রহমানে মরদেহ পড়ে আছে।
পরে লাকসাম রেলওয়ে থানার সেনা সদস্য আবদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ওইদিন আবদুর রহমানের বাবা হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে।