spot_img

দিন শেষে উইন্ডিজ ২ উইকেটে ৭৫ রান

অবশ্যই পরুন

চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের ৪৩০ রানের জবাবে উইন্ডিজ করল  ২ উইকেটে ৭৫ রান। বেশ স্বস্তির সঙ্গে খেলে অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট অপরাজিত আছেন ৪৫ রানে, তার সঙ্গে ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অভিষিক্ত এনক্রুমা বোনারের রান ১৭।

চা-বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম বলে চার দিয়ে শুরু হলেও পরে মোস্তাফিজ প্রায় নাচিয়ে ছেড়েছেন তাদের। ৭ ওভারের লম্বা স্পেলে কাটারে অতিষ্ঠ করে তুলেন। বেশ কয়েকবার রিভিউর ঈশারা দেওয়ার দরকার হয়েছে আম্পায়ারদের।

মোস্তাফিজের প্রথম শিকার জন ক্যাম্পবেল। তার কাটারে পরাস্ত হন বাঁহাতি ক্যাম্পবেল। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন, বাঁচতে না পারলেও রিভিউ রক্ষা পায় আম্পায়ার্স কলের কারণে।

পরের বলেই অভিষিক্ত শন মোসলিকে পরাস্ত করে উল্লাসে মেতেছিলেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ক্যারিবিয়ানরা।

তবে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারেননি এই বাঁহাতি। দশম ওভারের পঞ্চম বলে আবার আবেদন। আম্পায়ার সাড়া দিলেও রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। মোসলির ব্যাটে লাগায় নষ্ট হয় সে রিভিউ। কাটার দিয়ে হচ্ছে না দেখে পরের বলেই ইয়র্কার মেরে দেন বাংলাদেশের একমাত্র পেসার। এবার আর রক্ষা হয়নি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মোসলি।

দিনের শেষ ওভারসহ মোস্তাফিজ বল করেছেন ৮ ওভার। ২৯ ওভারের মধ্যে এর আগে পরে স্পিনাররা বল ঘুরিয়েছেন বাকিটা। উইকেট বের করতে পারেননি। এমনকি উইকেট বের করার পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। একটা সময় আরও একজন পেসারের অভাব কিছুটা টের পাওয়া যাচ্ছিল। বিশেষ করে দুই দিকে বল স্যুয়িং করাতে পারা আবু জায়েদ রাহিও এই উইকেটে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারতেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

২০১৮ সালে এই মাঠে দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচ অনেকটা পকেটে পুরেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসও শেষ হয়ে গিয়েছিল। শেষ বিকেলে নেমে আবার নিজেরাও উইকেট হারিয়েছিল।  তৃতীয় দিনে ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস ছিল স্পষ্ট। হয়েছিলও তাই। এবার সেরকম কিছু দেখা গেল না।

দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনেও উইকেট থেকে টার্ন পেলেন না স্পিনাররা। আচমকা লাফালাফিরও দেখা নেই। খুব একটা টার্ন নেই বুঝে উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বার কয়েক ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলে ফেললেন আগ্রাসী শট।

সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে ভরসা করার মতো অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট আর জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এটাই ভরসা বাংলাদেশের। না হলে উইকেটের আচরণ বলছে চাইলে এখনো লম্বা ইনিংস খেলতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। আর সেটা হলে ম্যাচ জমে যাওয়ারও সুযোগ থেকে যায়।

উইকেটের আচরণ তাই বাড়াচ্ছেন কৌতূহল। তৃতীয় দিনেও পরিস্থিতি একইরকম থাকলে কাজটা কিছুটা কঠিন হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।

এখানেই বড় কৃতিত্ব দাবি রাখেন মিরাজ। আট নম্বরে নেমে তার ওই সেঞ্চুরি না হলে যে সাড়ে তিনশোর আগেই থেমে যেতে পারত বাংলাদেশ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই তখন থাকত দোলাচল। টপ আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ভুলের খেসারত আর বাজে আউটের ক্ষত হয়ে যেত আরও প্রবল।

মিরাজ দলকে তো নিরাপদে রাখলেনই, সমোলাচনার তীর থেকে বোধহয় বাঁচিয়ে দিলেন সম্ভাবনাময় কয়েকটি ইনিংসের ‘অপমৃত্যু’ ডেকে আনা বাকিদের।

দিনের তৃতীয় ওভারে লিটন দাসের বিদায়ে নেমেছিলেন মিরাজ। আউট হয়েছেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। শেষ তিন উইকেট নিয়ে যোগ করেছেন আরও ১১৫ রান। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে নিয়ে ছিল ভয়। তাকে প্রথমেই দারুণভাবে সামলে বার্তা দিয়েছিলেন মিরাজ। এরপর স্পিনারদের খেলেছেন দাপট দেখিয়ে। নির্ভেজাল ক্রিকেটীয় শটে বের করেছেন রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলার পরিচয়ের আড়ালে পড়ে থাকা তার ব্যাটিং সামর্থ্য তুলে এনেছেন সবার সামনে।

আটে নেমে মিরাজ অমন খেলা দেখে ক্যারিবিয়ানরা বাড়তি কোন অনুপ্রেরণা না নিলেই স্বস্তি বাংলাদেশের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

(দ্বিতীয় দিন শেষে)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫০.২ ওভারে ৪৩০ (সাদমান ৫৯, তামিম ৯, শান্ত ২৫, মুমিনুল ২৬, মুশফিক ৩৮, সাকিব ৬৮, লিটন ৩৮, মিরাজ ১০৩, তাইজুল ১৮, নাঈম ২৪, মোস্তাফিজ ৩ ; রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ০/৬৯, কর্নওয়াল ২/১১৪, মেয়ার্স ০/১৬, ওয়ারিকান ৪/১৩৩ , ব্র্যাথওয়েট ০/১৩, বোনার ১/১৬)।

উইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৯ ওভারে ৭৫/২  (ব্র্যাথওয়েট ৪৯, ক্যাম্পবেল ৩, মোসলে ২, বোনার ১৭ ; মোস্তাফিজ ২/১৮, সাকিব ০/১৬, মিরাজ ০/২৪, তাইজুল ০/৯ , নাঈম ০/৭ )

সর্বশেষ সংবাদ

অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়, কটাক্ষের শিকার রুক্মিণী

ওপার বাংলা ভারতের কলকাতা, অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র পর্দায় ফিরছেন বিনোদিনী হিসেবে। সেই ছবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। আবার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ