গত ৬ জানুয়ারি নতুন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয় অনুমোদনের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয় থেকে তার ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভ চুরি হয়। ওই চুরির অভিযোগে রিলে জুন উইলিয়ামস নামের ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে।
রিলে জুন উইলিয়ামস বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কট্টর সমর্থক। গত সোমবার পেনসিলভেনিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সহিংস ও অবৈধভাবে কংগ্রেস ভবনে প্রবেশ এবং বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় রিলে জুন উইলিয়ামসকে দায়ী করেছেন তার এক সাবেক প্রেমিক। এক এফিডেভিটে তিনি দাবি করেন, পেলোসির ল্যাপটপ থেকে ডাটা চুরি করে তা রুশ গোয়েন্দাদের কাছে সরবরাহ করার ইচ্ছা ছিল রিলে উইলিয়ামসের। এ বিষয়ে এফবিআইয়ের এক এজেন্ট জানিয়েছেন, ৬ জানুয়ারির সেই সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিয়োতে মার্কিন হাউস স্পিকার পেলোসির কার্যালয়ের কাছে উইলিয়ামসকে দেখা গেছে।
পুলিশের নথি থেকে জানা যায়, সোমবার পেনসিলভানিয়ার মিডল ডিসট্রিক্ট থেকে আটক হন রিলে। তবে সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এ তরুণী। যদিও তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সেখানে তথ্য চুরি কিংবা পাচারের চেষ্টা সংক্রান্ত কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। এফবিআই এখনো এ ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে। রিলে উইলিয়ামসের সাবেক প্রেমিকের দাবি, ল্যাপটপটি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার কাছে পৌঁছানো যায়নি। এটি হয়তো এখনো রিলের হেফাজতেই আছে কিংবা তা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অবশ্য পেলোসির ল্যাপটপটি খোয়া যাওয়ার দুইদিন পর তার ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ড্রিউ হামিল টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, ল্যাপটপটি শুধু উপস্থাপনার কাজে ব্যবহার করা হতো। সূত্র: বিবিসি।