আমেরিকায় হামলা চালাতে সক্ষম রাশিয়ার নতুন সুপারসনিক মিসাইল, বাড়ছে উদ্বেগ

অবশ্যই পরুন

একদিকে ঘরোয়া কোন্দলে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, রাশিয়া। এবার ‘আরএস-২৮ সারমার্ট’ নামের নতুন এক ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছে রাশিয়া। ৬ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই সুপারসনিক মিসাইলটি মার্কিন ভূখণ্ডে হামলা চালানোর উদ্দেশে তৈরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে রাশিয়া ও আমেরিকার নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নতুন রুশ মিসাইলটি আপাতত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুত এটিকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম প্রায় ১০০ টন ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আছড়ে পড়লে যে বিস্ফোরণ ঘটবে তার ফলে ফ্রান্স বা টেক্সাসের সমান এলাকা কার্যত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে বলে মনে করছেন অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাশিয়া ও অমেরিকার মধ্যে হওয়া ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি’ বা আনবিক মিসাইল সংক্রান্ত চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে আমেরিকার সমালোচনা করে পুতিন বলেন, জেনে বুঝেই ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। আর মস্কোর কাঁধেই পালটা দায় চাপাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

উল্লেখ্য, সোভিয়েত জমানার শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল আইএনএফ চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার সব ধরনের ক্রুজ মিসাইল নিষিদ্ধ করা হয়। যার জেরে অস্ত্রভাণ্ডার গড়ার প্রতিযোগিতায় রাশ টানা গিয়েছিল। আতঙ্ক কাটিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল দু’টি মহাযুদ্ধের দুঃস্বপ্ন ভুলতে না পারা ইউরোপের মানুষ। ওই সময় বিভিন্ন পশ্চিমি দেশের রাজধানী লক্ষ্য করে মোতায়েন ছিল রুশ আনবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র। চুক্তির ফলে সেই সংকট থেকে মুক্তি মেলে। কিন্তু ওই চুক্তিতে চীনসহ অন্য কোনও দেশের ক্ষেত্রে এমন কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।

সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন মিসাইল নির্মাণের অভিযোগ এনে এই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। পালটা জবাব দিয়েছে মস্কোও। পাশাপাশি, ২০২১-এ এসটিএআরটি (স্ট্রাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি) চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই টানাপোড়েনের জেরে ওই চুক্তির মেয়াদ বাড়া নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া-আমেরিকার কাছে সর্বোচ্চ কতগুলো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, তা নিয়েই ওই চুক্তি হয়েছিল। সব মিলিয়ে দুই আনবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে আবারও ঠান্ডা যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সূত্র: তাস, দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট।

সর্বশেষ সংবাদ

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল। রোববার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ