বেসরকারি উদ্যোগে করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি ও তা কীভাবে প্রয়োগ হবে এসব নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করোনাভাইরাসের টিকা এনে তা দিতে পারবে। নীতিমালার মধ্যে সবকিছু থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে দিবে, কিভাবে হিসাব রাখবে, কি দামে দেবেন- এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেওয়া হবে। এটাও ঠিক করে দেওয়া হবে হাসপাতালের মাধ্যমে, কোন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, নভেল করোনাভাইরাসের টিকা রাখার স্টোরেজের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ বা আনসার এর নিরাপত্তায় থাকবে। এটাও বলেছি টিকা যেখানে রাখা হবে সেখানে ফ্রিজটা যেন সঠিকভাবে চালু থাকে। বিদ্যুৎ যেন ঠিকমতো থাকে সেদিকেও নজর রাখা হবে।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ফাইজারের টিকার জন্য কোভেক্স থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তার জবাব পাঠানো হয়েছে।
‘কোভেক্স থেকে ফাইজারের টিকা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। আমরা সে আবেদন করেছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৪ লাখ লোককে দেওয়ার জন্য ৮ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।’
তিনি জানান, দেশজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ৭৩৪৪টি দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন টিকাদান কর্মী এবং চার স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ছয়জন সদস্য থাকবেন। একটি দল প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষকে টিকা দিতে পারবে।
সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুটি মনিটরিং সেল তৈরি করা হচ্ছে, যা শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানান তিনি।
‘ভ্যাকসিন সারাদেশে কি অবস্থায় আছে, কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, তাদের পরার্মশ দেওয়ার কাজ করবে। প্রাইভেট সেকটরকেও মনিটরিং করবে।’
বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদেরও টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা টিকা দেব।