ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে খাবারের হালকা মেনু রাখার বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি আছে। আমাদের শরীর ঘড়ি অনুযায়ী চলে। সকালে হজমপ্রক্রিয়া শক্তিশালী থাকে এবং রাতে তা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে পুষ্টিবিদরা রাতে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালরি এবং চর্বিযুক্ত খাবার অল্প পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রাতের মেনুতে হালকা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখা উচিত।আসুন জেনে নেই দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে যেগুলো রাতে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে তা সম্পর্কে-
* হিমায়িত খাবার:
হিমায়িত খাবারে প্রচুর পরিমাণে তরল তেল, অসম্পৃক্ত চর্বি, চিনি ও ক্যালরি রয়েছে। এগুলো আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করে। এছাড়া হিমায়িত খাবার বার বার গরম করার ফলে এর পুষ্টির মানও কমে যায়।
* মাইক্রোওয়েভে ভাজা পপকর্ন:
দোকান থেকে যেসব পপকর্ন কেনা হয় সেগুলো সাধারণত মাইক্রোওয়েভে ভাজা হয়, এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পরিশোধিত চর্বি ও লবণ থাকে।
* কোমল পানীয়:
সকল প্রকার কোমল পানীয় এবং কার্বোহাইড্রেটেড ড্রিংক রাতে একেবারেই পরিহার করতে হবে। এতে সোডা এবং অতিরিক্ত চিনি থাকে যা শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
* সস:
বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে পরিবেশনের জন্য টমেটোর সস এবং ক্যাচআপ বেশ জনপ্রিয়। আমরা হয়তো জানি না যে, এতে প্রক্রিয়াজাত সুগার ব্যবহৃত হয়।
* ফ্রেঞ্চ ফ্রাই:
কোনো সন্দেহ নেই যে, রেস্টুরেন্টে যেসব ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান সেগুলোতে প্রচুর সম্পৃক্ত চর্বি, কোলেস্টেরল এবং ক্যালরি থাকে।
* পনির ও পিজ্জা:
পনিরে সম্পৃক্ত চর্বি, কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম থাকে যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এদিকে, পিজ্জা তৈরিতে কার্বোহাইড্রেট, লবণ সোডিয়াম ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া সস, পনির এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়।
* বাদাম:
এতে সকল প্রকার পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি শক্তি জোগানোর গুণ রয়েছে। উচ্চমাত্রায় ক্যালরি থাকায় সকালের দিকে বাদাম খাওয়াই উত্তম সময়।