মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে বাইডেন প্রশাসনকে আশার আলো হিসাবে দেখছে চীন। সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং উই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে ভুল নীতি গ্রহণ করেছিলেন। আর তাই ওয়াং উই নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাইডেনের প্রতি আমার অনুরোধ, দয়া করে যুক্তি মেনে চলবেন, আলোচনার পথ তৈরি করবেন এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করবেন যেন আবার আমরা একে অন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি।
চীনা সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়াকে ওয়াং বলেন, দুই দেশের মধ্যে মূল সমস্যা হচ্ছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ চীনকে ভুল বুঝে বসে আছে। তারা মনে করে চীন তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি আর এটা ভেবে তারা ভুল নীতিমালা গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও এক সাক্ষাৎকারে চীনের নেতৃত্বকে ভয়ংকর একনায়কতন্ত্র বলে দাবী করলে তার প্রেক্ষিতে ওয়াং এই মন্তব্য করেন। পম্পেও দাবী করেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাস্তবতা বুঝতে পেরেই চীনের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বাধ্য হয়েছে।
যদিও বেইজিং অবশ্য দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির জন্য ট্রাম্পকেই দাবী করেছে। চীন দাবী করে তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার গুলো বিশেষ করে হংকংয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সাউথ চায়না সাগরে সীমালঙ্ঘন, করোনা ভাইরাস ইস্যু এবং চীন অধিকৃত তাইওয়ানে ধারাবাহিক হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে।
ওয়াং আশা করেন, জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবেন এবং দুই পরাশক্তির সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী হবেন। তিনি বলেন, দুই দেশ রাস্তার দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। আর বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে আগ্রহী নয়। তবে দুই দেশ একে অন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ালে তা দুই দেশের জনগণের জন্যই দারুণ ব্যাপার হবে। তিনি বলেন, আমেরিকার উচিৎ চীনের জনগণের সমাজ ব্যবস্থা এবং উন্নত জীবনের পথে তাদের চেষ্টাকে সম্মান জানানো। দুই দেশ একে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা উভয়ের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে।