ম্যাচের বাকি হাতে গোণা কয়েক মিনিট। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, আবারো পয়েন্ট খোয়াতে যাচ্ছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তবে উদ্ধারকর্তা হয়ে এগিয়ে এলেন উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। ৯০ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের পাস থেকে গোল করে, দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ২-১ ব্যবধানে দেপোর্তিভো আলাভেজকে হারাল অ্যাতলেটিকো।
নতুন বছরে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের জন্য বড়সড় একটা পরীক্ষাই ছিল আজ। প্রতিপক্ষ ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল, দেপোর্তিভো আলাভেজ। তবে মনস্তাত্বিক লড়াই ছিল। নতুন বছরে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা সুয়ারেজদের। তার আগেই তারা জেনেছে, পয়েন্ট টেবিলে তাদেরকে হটিয়ে দখল নিয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। এমন ম্যাচে তাই শীর্ষস্থান ফিরে পেতে জিততেই হতো অ্যাতলেটিকোকে। সেটা করেও দেখিয়েছে দিয়েগো সিমিওনের শীর্ষ্যরা।
বার্সেলোনা ছেড়ে মাদ্রিদে পাড়ি জমানোর পর থেকে লুইস সুয়ারেজের তেজ যেন আরো বেড়েছে! প্রতিটা ম্যাচেই জানান দিচ্ছেন, এখনও ফুরিয়ে যান নি। উল্টো ৩৩ বছর বয়সেও দলকে রক্ষার দায়িত্বটা তুলে নিয়েছেন নিজের চওড়া কাঁধে। আলাভেজের মাঠে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরাই। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সময় নেয় দিয়েগো সিমিওনের অ্যাতলেটিকো।
প্রথমার্ধ্ব শেষ হওয়ার আগে আগে গোলের দেখা পায় মাদ্রিদের ক্লাবটি। সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লরেন্তে। দ্বিতীয়ার্ধ্বে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে আলাভেজ। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে থাকে তারাও। তবে ৬৩ মিনিটে লাগুয়ারদিয়া লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে, ১০ জনের দলে পরিণত হয় আলভেজ। তারপরও, প্রেস করে খেলতে থাকে তারা। তারই ফল পায় তারা ৮৪ মিনিটে। আলাভেজের আক্রমন ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন ফেলিপে। তারপর শেষ মিসিটে সুয়ারেজ ম্যাজিক।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ১২ ম্যাচে ৯টি গোল করলেন সুয়ারেজ। সঙ্গে করেছেন আরো ২টি অ্যাসিস্টও। ফলে গড়ে ফেলেছেন একটি রেকর্ডও। এই শতাব্দীতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে এমন দুর্দান্ত সূচনা এর আগে করেছিলেন কলম্বিয়ান তারকা রাদামেল ফ্যালকাও। মৌসুমের শুরুর ১২ ম্যাচে ৯ গোল ও ১টি অ্যাসিস্ট ছিল ফ্যালকাওয়ের। তাকে ছাড়িয়ে গেলেন সুয়ারেজ।
উরুগুইয়ান তারকার কীর্তির দিনে জয় নিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেয়ে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করলো অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। টেবিলের দুইয়ে থাকা রিয়ালের সঙ্গে তাদের ব্যবধান এখন ২ পয়েন্টের। তবে রিয়াল ম্যাচ খেলেছে ২টি বেশি।