পার-ক্যাপিটা ইনকাম বা মাথাপিছু আয়ে চলতি অর্থবছর ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ২০২০-২১ সালে ৯ শতাংশ বেড়ে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলার। এ সময় ভারতের গড় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯’শ’ ৪৭ দশমিক ৪২ ডলার।
আন্তর্জাতিক মনিটরি ফান্ডের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক গত অক্টোবরেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ ভারতের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। কোভিডের কারণেই ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থা বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশে কোভিডের প্রকোপ থাকলেও প্রণোদনাসহ সরকারের নেয়া পদক্ষেপে কারণে স্বস্তিতে আছে অর্থনীতি। যার প্রতিফলন উঠে এসেছে সব শেষ মাথা পিছু আয়ের তথ্যেও।
গত সপ্তাহের মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, চলতি অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ছিল ২০৬৪ ডলার। প্রবৃদ্ধির হার ৯ শতাংশ।
এদিকে অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলছেন, জিডিপিতে বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। করোনার সময়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি আশা করছে সরকার। তবে ভারত আগামী বছর আবার ঘুরে দাঁড়ালে মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশকে আবার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে ভারত সরকারের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামানিয়ামের মতে, এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পরিসংখ্যানগুলো সব সময় তুলনা করা যায় না। কারণ এটি অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির তুলনামূলক চিত্র ঠিকভাবে তুলে আনতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার, যা আগের বারের থেকে ৯ শতাংশ বেশি।