সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয় কিংবা থানা হাজতে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাকে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়নি বলেও দাবি করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি অপরাধ না করে থাকলে আইনে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। এটা তো সব রাষ্ট্রের কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শারীরিকভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়নি। একজন সিনিয়র অফিসার ও দুই জন নারী কর্মকর্তা ছিলেন সেখানে। যখন স্টেট সিক্রিটের বিষয় আসছে তখন তারা পুলিশ ডেকেছে। তারপর এই বিষয়গুলো ঘটেছে। যা অনাকাঙ্খিত।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা দুর্নীতি নিয়ে যেসব প্রতিবেদন করেছেন তার জন্য তো এই ঘটনা নয়। ওখানে গিয়ে ছবি তুলছেন, ফাইল নিয়ে যাচ্ছেন, যেগুলো রাষ্ট্রীয় সিক্রেট ডকুমেন্ট। এটা টিকা সংক্রান্ত। এগুলো স্টেট লেভেলে আমরা কমিটমেন্ট দিয়েছি যে কোথাও পাবলিশ করবো না। কিন্তু কেউ যদি এগুলো নেয় তাহলে আমরা কী করতে পারি?’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, ওই সময়ে কেউ ছিল না। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা ছিল। খালি রুমের মধ্যে উনি ঢুকেছেন। কেউ তাকে ট্রাপে ফেলেছে নাকি অন্যায় করেছে তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে। মন্ত্রণালয় থেকে কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একজন অতিরিক্ত সচিব তার গলা চেপে ধরেছেন এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। তিনি সিনিয়র অফিসার। ওই অফিসার বলেছেন, ‘আমি যখন তাকে আটকাতে চেষ্টা করেছি তখন তিনিই খামচি দিয়েছি, থাপ্পর দিয়েছে।’ এরপর তো আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ চলে আসছে। এটাই আমি জেনেছি।’’ তবে কোনো নির্দোষ লোক সাজা পাক এটা আমরা চাই না।