ভারতের সঙ্গে কার্যত সীমান্ত চালু নেই : তথ্যমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারতের সঙ্গে কার্যত সীমান্ত চালু নেই, শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বিএনপি মহাসচিব তাদের সীমান্ত বন্ধ করার দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে সীমান্ত কার্যত যেভাবে চালু থাকে সেভাবে চালু নাই। বালাদেশের কোনো মানুষ সেখানে যেতে পারছে না, কেউ আসতে পারছে না।

তিনি বলেন, কিন্তু পণ্য পরিবহন চালু আছে। মির্জা ফখরুল কী পণ্য পরিবহনও বন্ধ করে দিতে বলেছেন। যাতে বাংলাদেশে পণ্যের সঙ্কট পড়ে। তিনি বুদ্ধিমান মানুষ, তিনি বুদ্ধি করেই বলেছেন। যাতে দেশে একটি সঙ্কট তৈরি হয়। কার্যত সীমান্ত চালু নেই, শুধু পণ্য পরিবহন চালু আছে।

ভারতে করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ, তার মধ্যে সরকার আজ থেকে মার্কেট খুলে দিলো। এটা আমাদের জন্য কতটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার লকডাউন দেওয়ার পর বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে লকডাউন না দেওয়ার জন্য। দোকান খোলার জন্যও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

সরকারকে তো জীবন এবং জীবিকা দুটোই রক্ষা করতে হবে। জীবন এবং জীবিকা রক্ষার মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। বিশ্বব্যাপী এটি প্রশংসিত হয়েছে। সরকার প্রথম দফা যখন লকডাউন দেয় তখনও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন নানা আলোচনা-সমলোচনা, বিশেষজ্ঞদের মত-অভিমত আমরা দেখেছি।

‘বাস্তবতা হচ্ছে প্রথম দফা করোনা মহামারির মধ্যে জীবন এবং জীবিকা রক্ষাকে সমন্বয় করে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। সে কারণে বাংলাদেশ প্রথম দফা মহামারির ঢেউ যেমন সফলভাবে অনেক দেশের তুলনায় মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে, একই সাথে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে সরকার সক্ষম হয়েছে।

পৃথিবীর মাত্র ২০টি দেশে পজিটিভ গ্রোউথ অর্জন হয়েছে গত বছর। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং বাংলাদেশ সেখানে তিন নম্বরে রয়েছে। যে দুইটি দেশ আমাদের আগে আছে সেগুলো হলো সাউথ সুদান এবং গায়ানা। তাদের অর্থনীতি খুবই ছোট এবং জনসংখ্যা কম। সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো খেটে খাওয়া মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে এবং দেশের কয়েক কোটি মানুষ দোকানের উপর নির্ভরশীল, সামনে ঈদ। এগুলো বিবেচনায় রাখতে হয়। সেজন্য সরকার সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে আমি মনে করি করোনা মহামারি পৃথিবীতে চলছে, দেশে মহামারির থাবা এখন বিরাজমান। সেই কথা মাথায় আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি আমরা কাজ করি তাহলে করোনাকে মোকাবিলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, যারা নানান কথা বলেন তাদের সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই কাউকে কাউকে দেখি প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করেন এবং সরকারকে অনুরোধ জানান ত্রাণ দেওয়ার জন্য। সরকার ত্রাণ দিচ্ছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সারা দেশব্যাপী ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পরিচালনা করা হচ্ছে।

আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটেও দিচ্ছে। যারা প্রেসক্লাবে গিয়ে দাবি জানিয়েছেন তারা একশ’ প্যাকেট নিয়ে দাঁড়াননি ওখানে দুস্থ মানুষকে দেয়ার জন্য। তারা নিজেরা অন্তত একশ’ প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়েও যদি সরকারকে ত্রাণ দেয়ার আহ্বান জানাতেন তাহলে বলতাম তাদের সেই মানববন্ধনটা যৌক্তিক।

সেটা না করে তারা এ সমস্ত দাবি দাওয়া করছেন। আসলে করোনা মহামারির মধ্যে বহুধরনের বিভ্রান্তি ছাড়ানোর শুরু থেকে চেষ্টা করা হয়েছে। করোনার টিকা নিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। সবকিছুতেই তারা ব্যর্থ হয়েছে। সরকার জীবন ও জীবিকা রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে নানা ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

সর্বশেষ সংবাদ

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল। রোববার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ