দেশি-বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত না করে চ্যালেঞ্জ নিয়েই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সিদ্ধান্ত ও যোগ্য নেতৃত্বে সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন পূর্ণাঙ্গ কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে।
গত ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর মূল কাঠামো পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন বাস্তবে সেই সেতুটি দেখার সুযোগ হয়নি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভক্ষণে গত শনিবার দুপুরে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের পদ্মাসেতুর মূল কাঠামোর পূর্ণাঙ্গ রূপ বাস্তবে দেখলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে হেলিকপ্টার থেকে পদ্মাসেতুর ভিডিও করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার পাশে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
এর আগে সর্বশেষ গেল বছরের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া আসা-যাওয়ার পথে হেলিকপ্টার থেকে সরাসরি পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনও পদ্মাসেতুর পূর্ণাঙ্গ কাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
দুই তলা বিশিষ্ট পদ্মা সেতুতে স্প্যানের ওপর কংক্রিটের স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হলেই পিচ ঢালাই হবে। ঢালাইয়ের কাজ, রেলের জন্য স্লিপার বসানোসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের উপযোগী হবে। পদ্মাসেতুর ওপর তলায় চার লেনে যানবাহন এবং নিচতলা দিয়ে চলবে ট্রেন।