spot_img

মসজিদে কিবলাতাইন বা দুই কিবলার মসজিদ

অবশ্যই পরুন

পবিত্র নগরী মদিনার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত দুই কেবলার স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ‘মসজিদে কিবলাতাইন’। এটি ইসলামের ইতিহাসের তৃতীয় প্রাচীন মসজিদ। এ মসজিদেই কিবলা পরিবর্তনে প্রিয়নবী (সা.)-এর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে। এখানে নামাজ পড়ার সময়ই নবীজির কাছে কিবলা পরিবর্তনের নির্দেশ-সংবলিত অহি আসে।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি আপনার মুখ বারবার আকাশের দিকে উঠতে দেখছি। সুতরাং আমি অবশ্যই আপনাকে আপনার পছন্দের কিবলার দিকে ফিরিয়ে দেব। এখন আপনি আপনার মুখ মসজিদুল হারামের দিকে ফেরান।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৪৪)

এরপর রাসুল (সা.) নামাজরত অবস্থায়-ই বাইতুল মুকাদ্দিসের দিক থেকে পবিত্র কাবার দিকে ফিরে যান। তার সঙ্গে নামাজরত মুসল্লিরাও ফিরে যান। একই মসজিদে দাঁড়িয়ে নবীজি দুই কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ পড়েছিলেন বলেই এই মসজিদের নাম ‘মসজিদে কিবলাতাইন’ বা ‘দুই কিবলার মসজিদ’ রাখা হয়।

আগে এই মসজিদে দুটি মেহরাব ছিল। একটি ফিলিস্তিনের বাইতুল মুকাদ্দিসের দিকে এবং অন্যটি মক্কার মসজিদুল হারামের দিকে। পরে মসজিদের পুনর্র্নির্মাণের সময় বাইতুল মুকদ্দাসমুখী মেহরাব সরিয়ে নেওয়া হয়।

দ্বিতীয় হিজরিতে মদিনা মুনাওয়ারার পশ্চিমে বনি সালামা অঞ্চলের খালিদ বিন ওয়ালিদ সড়কের পাশে সর্বপ্রথম রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম নির্মাণ করেন। এরপর ১০০ হিজরিতে ইসলামের পঞ্চম খলিফাখ্যাত ন্যায়পরায়ণ শাসক উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) মসজিদটির পুনর্র্নির্মাণ করেন। এর দীর্ঘকাল পর ৮৯৩ হিজরিতে মসজিদে নববির প্রখ্যাত খাদেম শুজায়ি শাহিন আল জামালি ছাদসহ ‘মসজিদে কিবলাতাইন’ পুনর্র্নির্মাণ করেন। এই নির্মাণের ৫৭ বছর পর তুরস্কের উসমানি খলিফা সুলাইমান আল কানুনি ৯৫০ হিজরিতে আরও বৃহৎ পরিসরে এটির সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেন।

ঐতিহ্যবাহী আরব্য স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ৩ হাজার ৯২০ বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদে দুই হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে রয়েছে নান্দনিক ডিজাইনের দুটি গম্বুজ এবং দুটি সুদৃশ্য মিনার। ইসলামের স্বর্ণালি ইতিহাসে ‘মসজিদে কিবলাতাইনের’ আবেদন চির অম্লান।

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ