মানুষের হাড়গোড় দিয়ে বানানো হয়েছে যে গির্জা!

অবশ্যই পরুন

সারি সারি সাজানো মানুষের মৃতদেহ আর হাড়গোড়। গা ছমছমে এক গির্জা। সেখানে ঢুকলেই দেখা যাবে মৃতদেহ আর হাড়গোড়। মূলত গির্জাটির ভেতর দিককার দেয়ার এবং ছাদ সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে এসব হাড়গোড়।

শুধু তাই নয়, ছাদ থেকে যে বিরাট এক ঝাড়বাতি ঝুলছে সেটাও আবার তৈরি হয়েছে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় দিয়েই। যে শহরে এই গির্জা, তার নাম ‘কুতনা হোরা’। চেক প্রজাতন্ত্রের সাজানো গোছানো একটি শহর। পর্যটকরা সেখানে যান বিখ্যাত সেডলেক ওসারি বা কঙ্কালের গির্জা দেখতে। প্রায় ৪০ থেকে ৭০ হাজার মানুষের হাড়গোড় দিয়ে বানানো হয়েছে গির্জাটির ভেতরের অনেক জিনিসপত্র।

ইতিহাস অনুসারে, যে জায়গায় গির্জা বানানো হয়েছে অতীতে সেখানে ছিলো ছোট একটি কবরস্থান। ১২০০ সালের দিকে এক পাদ্রী জেরুজালেম থেকে কিছু মাটি সংগ্রহ করে এনে ওই কবরস্থানে ছড়িয়ে দেন।

এরপর ওই এলাকার মানুষ পূণ্যলাভের আশায় মৃত্যুর পর সেখানে সমাহিত হওয়ার প্রার্থনা করতো। ধীরে ধীরে স্থানটি একটি ‘পবিত্র সমাধিক্ষেত্র’ হয়ে ওঠে।

১৪০০ সালের দিকে ইউরোপে কালো জ্বরের কারণে যাদের, মৃত্যু হয় তাদের অনেককেই কুতনা হোরার ওই কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়। এক সময় সমাধিক্ষেত্রটিতে নতুন করে কাউকে সমাহিত করার জায়গা না থাকায় পরে একটি গির্জা নির্মাণ করে সমাহিত করা হতো মৃতদের।

১৫০০ সালের দিকে মাথার খুলি ও হাড় গির্জায় সজ্জিত করে রাখার দায়িত্ব দেয়া হয় এক খ্রিস্টান মঠকে। মৃতদের অসম্মান যাতে জানানো না হয়, সেজন্য ছবি তুলতে গেলেও অনুমতি নিতে হয় এখানে।

প্রতি বছর অন্তত চার লাখ পর্যটক এই বিশেষ রোমাঞ্চকর গির্জা দেখতে শহরটিতে যান।

সর্বশেষ সংবাদ

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল। রোববার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ