মহানগর হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন মেয়র তাপসের

অবশ্যই পরুন

কভিড-১৯-এ আক্রান্ত ঢাকাবাসীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা উপযোগী করে গড়ে তোলার কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে মেয়র শেখ তাপস ঢাকা মহানগর হাসপাতালের এই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এই হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত ঢাকাবাসীকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেন।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকাবাসী চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম স্বচক্ষে অবলোকনই আজকের এই পরিদর্শন। আমরা চাই ঢাকাবাসী যেন এই সময়ে তাদের চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। সেজন্য আনুষঙ্গিক ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম আমরা সমাপ্ত করেছি৷

কিন্তু কভিড-১৯ চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুষঙ্গগুলো পেতে বিলম্ব হওয়ায় এখনো এই হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি উল্লেখ করে মেয়র তাপস আরো বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কায় যে চিকিৎসক দেয়া হয় তাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া, ৫টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জন্য শয্যা প্রদান বিলম্ব করা হয়েছিল এবং আনুষঙ্গিক যে সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রয়োজন সেগুলো আমরা সময় মতো পাইনি। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আনুষঙ্গিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি যে আর এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

চিকিৎসক-নার্সসহ কিছু লোকবল পদায়ন করা হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র আরো বলেন, এখন আমাদের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বা প্লান্ট প্রয়োজন হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ এনেসথেসিস্টও লাগবে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কথা বলছি। আশা করছি খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় সকল অনুষঙ্গ সরবরাহ করা হবে এবং দ্রুতই আমরা চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে যেতে পারব।

ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রকাশ রায় বলেন, আমরা ৫৬ জন চিকিৎসক (মেডিক্যাল অফিসার) চেয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮ জনকে পদায়ন করা হয়েছে এবং ১৬ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। একইসাথে আমরা ৬০ জন নার্স চেয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০ জনকে প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২২ জন যোগদান করেছেন। আর আগামী রোববারের মধ্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা বা প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আজ জানানো হয়েছে। আশা করছি, আমরা দ্রুতই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও মেডিক্যাল স্পেশালিস্টও পেয়ে যাবো এবং মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

ডা. প্রকাশ বলেন, এই হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সমৃদ্ধ ৫টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের শয্যা, ৩০টি উচ্চ-অক্সিজেন-প্রবাহ (হাই-ফ্লো অক্সিজেন) সমৃদ্ধ শয্যা এবং ৭৫টি আইসোলেশন শয্যা নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতিমূলক কার্মকাণ্ড চলমান রয়েছে।

পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

উত্তরা পূর্ব থানায় গার্মেন্টস কর্মী ফজলুল করিম হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ