বগুড়ায় স্বাধীনতা দিবসে প্রদর্শিত হবে কাপড়ের তৈরি সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা। এটি তৈরি করছে বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুট আয়তনের পতাকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণের অপেক্ষা।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, পতাকাটি দৈর্ঘ্যে ১৫০ ফুট ও প্রস্থে ৯০ ফুট। এর আগে শুধু কাপড় দিয়ে এত বড় পতাকা দেশের কোথাও তৈরি করা হয়নি। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই পতাকা প্রদর্শন করা হবে।
পতাকা তৈরিতে কাজ করছেন বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রঞ্জু, সুজন, বাবু, ইসমাইল হোসেন সনি, নাঈম, রেজওয়ানুল ইসলাম রুপম, আসিফসহ অনেকে। তারা বলেন, মূলত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা ছিল। যা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমাদের দেশপ্রেমের অন্যতম অংশ মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা। মানচিত্র নিয়ে বিভিন্ন সময় অনেক কিছু করা হয়েছে। কিন্তু পতাকা নিয়ে এমনভাবে কিছু করা হয়নি। এ কারণে আমরা শুধু কাপড় দিয়ে সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরি ও প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডা. আরশাদ সায়ীদ বলেন, বগুড়ার কিশোর-তরুণসহ অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা সম্পর্কে জানে না। জাতীয় পতাকার সঙ্গে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কর্নারও করছি। আমাদের স্কুলের যেসব শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের ছবি ও ইতিহাস থাকবে সেখানে।
বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নাহিয়ান আল মাহমুদ ও একেএম সোহেবুর রহমান বলেন, আমাদের জানা মতে এখন পর্যন্ত এটিই কাপড়ের তৈরি সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা। পতাকা প্রদর্শনের পর আমরা কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এরপর স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তাফী বলেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা তৈরি করছে। পতাকার মাপ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে।