রাজনীতিতে এসেছেন এখনো এক মাসও হয়নি। নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। তার প্রার্থী হওয়ার জল্পনাও রয়েছে তুঙ্গে। সেই জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেই অভিনেত্রী নিজেই জোর গলায় জানালেন শীঘ্রই হয়তো প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি। ময়নায় বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দার হয়ে প্রচার করতে দেখা যায় শ্রাবন্তীকে।
অশোক দিন্দাকে একজন ‘মিষ্টি, ভাল মানুষ’ বলেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। এতদিন ক্রিকেটে সকলের মনোরঞ্জন করেছেন, এবার রাস্তায় নেমে সকলের পাশে থাকবেন তিনি, এমনটাই বলেন শ্রাবন্তী।
এরপরেই প্রকাশ্য সভায় জোর গলায় শ্রাবন্তী ঘোষনা করেন, হয়তো খুব শীঘ্রই তিনি নিজেও প্রার্থী হতে চলেছেন। সকলের আশীর্বাদ চাই তার। করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে সভা।
এরপরেই শ্রাবন্তী বলেন, অনেকেই ভাবছেন বিজেপিতে যোগ কেন দিলেন তিনি। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন শ্রাবন্তী। যোগ দিয়েছেন র্যালিতেও। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল থেকে সেই প্রাপ্য সম্মান তিনি পাননি বলে অভিযোগ করেন শ্রাবন্তী।
সম্প্রতি টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শ্রাবন্তী। পরপর টুইটে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রী লেখেন, ‘পিসির স্বার্থপরতার জন্য কেন্দ্রের বেশিরভাগ সুবিধাজনক প্রকল্পের লাভই পায় না বাংলা। ওর ক্ষুদ্রমনা রাজনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরি সুযোগ সুবিধা থেকেও অন্যায় ভাবে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। বাংলাকে আর এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’
এখানেই শেষ নয়। আরো একটি টুইটে শ্রাবন্তী লিখেছেন, ‘যাদের মাথা গোঁজার কোন ঠাঁই নেই তাদের কাছে ট্যাব কেনা বিলাসিতা নয় কী? আমফানের ঝড়ে উড়েছে চাল,কিন্তু কেন্দ্র থেকে ক্ষতিপূরণ এলেও তা পৌঁছায়নি ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে। তাই বাধ্য হচ্ছে মানুষ ট্যাবের টাকাতে বাড়ির ছাদ সরাতে। এটাই পিসির উন্নয়ন।’ দুটি টুইটেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘#BongerBhumiteShah’
এর আগেও তৃণমূল ছেড়ে নেতা মন্ত্রীদের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে সবুজ শিবিরকে কটাক্ষ করেন শ্রাবন্তী। তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শ্রাবন্তী। তিনি লেখেন, ‘পিসি ভাইপো রাজনীতির জন্যই নেতা, কর্মী, মন্ত্রীরা তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এই দুজন সবসময় নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসেছে।’