ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে পাত্তা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে টেস্টে দুর্দান্ত। অভিষেকে কাইল মায়ার্সের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে চমকে দিলো উইন্ডিজ। শেষ দিন বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অনবদ্য পারফরম্যান্সে ৩ উইকেটে জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা।
রোববার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সাক্ষী হয়ে থাকল একটি ক্লাসিক টেস্ট ম্যাচের। বাংলাদেশের জন্য তা অবশ্য চরম হতাশার। ৩৯৫ রান তাড়া করে যে ৭ উইকেটে জিতে গেছে তারা। সকল প্রেডিকশন ভুল করে সিরিজেও এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
দলকে জিতিয়ে অভিষেকেই ২১০ রানে অপরাজিত ছিলেন মায়ার্স। ২০ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৭ ছক্কা। অভিষেকে ইতিহাসে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা এটি। আর চতুর্থ ইনিংসে কোন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যানের এটাই সেরা ইনিংস। দলকে জেতাতে অবদান রাখা বোনার করেন ২৪৫ বলে ৮৬ রান।
এমন ম্যাচ জিতলে হবে একগাদা রেকর্ড। হয়েছেও তাই। টেস্ট ইতিহাসে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ রান তাড়ার ঘটনা। সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪১৮ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল তারা। তবে উপমহাদেশের মাঠে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়ার নজির। এর আগে চেন্নাইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত।
শেষ দিনে উইন্ডিজের হাতে ছিল ৭ উইকেট। জিততে হলে করতে হতো আরও ২৮৫। ড্র করতে হলে টিকতে হতো তিন সেশন। নামকরা ব্যাটসম্যান বলতে ছিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। কিন্তু দুই সেশন পর ব্যাটিং পেয়ে তিনি করতে পারলেন কেবল ৯ রান।
যাদের গায়ে আলো পড়েনি সেই মায়ার্স আর বোনারই যে তুললেন আলোড়ন। চতুর্থ উইকেটে অবিশ্বাস্য জুটি উপহার দিলেন তারা। দুজনেই অভিষিক্ত। ইতিহাস দেখল দুই অভিষিক্তের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৫৯
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ২২৩/৮ (ইনিংস ঘোষণা)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৫) ১২৭.৩ ওভারে ৩৯৫/৭ (আগের দিন ১১০/৩) (বোনার ৮৬, মায়ার্স ২১০*, ব্ল্যাকউড ৯, জশুয়া ২০, রোচ ০, কর্নওয়াল ০*; মোস্তাফিজ ০/৭১, তাইজুল ২/৯১, মিরাজ ৩/১১৩, নাঈম ১/১০৫)।