নথি জালিয়াতি: জামিন পাননি নাজিম উদ্দিন

অবশ্যই পরুন

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গণভবনের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ডক্টর বশির উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলাম মমিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লিখিত আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলাম মমিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারী ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দীন, রুবেল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) এম আব্দুস সালাম আজাদ। এদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এয়ার কমোডর (অব.) এম আব্দুস সালাম আজাদ পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এয়ার কমোডর (অব.) এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে ফাইল এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি, গোপনীয় এ তথ্য ফোনে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপর তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ মার্চ নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ৪ নম্বর গেটের সামনে আসামি ফরহাদের হাতে তুলে দেন। এ কাজের জন্য ফাতেমাকে আসামিরা ১০ হাজার করে বিকাশে মোট ২০ হাজার টাকা দেয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এরপরেই সেই নথিতে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেয়। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশেও ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেয়। পরে আসামিরা গত ৩ মার্চ তারিখে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এসব ঘটনা নিয়ে ভাটারা এলাকার সানফ্লাওয়ার রেস্টুরেন্টে আসামি নাজিমের সঙ্গে তরিকুল ও ফরহাদ পরামর্শ করে। তবে তাদের জালিয়াতিটি ধরা পড়ে যায়।

জালিয়াতির এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে তরিকুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা ও ফরহাদ নামে তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ

শাহরুখ পুত্রের ধর্ম নিয়ে নতুন আলোচনা, জবাব দিলেন গৌরী

তারকাদের খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়েই তাদের ভক্তদের আগ্রহ থাকে। বাদ যায় না তাদের পরিবারের সদস্যরা। আর সে কারণেই স্টার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ