spot_img

পর্তুগালে ফের পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা

অবশ্যই পরুন

পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীর আন্তোনিও কোস্তা চলমান করোনাভাইরাস সংকটে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন এবং ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন।

এসময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী করোনা সংকট মোকাবেলায় দেশের মানুষকে সবসময় ঘরে থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গত বছরের মার্চ এবং এপ্রিল মাসের মত সকল জনসাধারণকে ঘরে থাকার প্রয়োজনীয়তা এবং বাধ্যবাধকতা উপলব্ধি করে এই জরুরি অবস্থা বা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এই লকডাউনের সাধারণ নিয়মকানুন সমূহ গতবছরের ন্যায় একই থাকবে। শুধুমাত্র বড় পরিবর্তন আসছে শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে পারবে এবং সকল ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এসময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন যদিও আমাদের আশা জাগিয়েছিল যে আমরা মহামারি অতিক্রম করবো শিগগিরই কিন্তু পর্তুগীজ নাগরিকরা সেটিকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েছে। যার ফলে আমাদের কঠিন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। চলমান মহামারিতে প্রতিদিন প্রায় ১০০ বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে এবং এই ক্ষতি অপূরণীয় এবং অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে আমাদেরকে।

সবাইকে ঘরে বসে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার নিদর্শনা দেওয়া হয়েছে এবং এই আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠিন জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে বলে সর্তক করেন তিনি। লকডাউনের ফলে যেসকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক ভাবে বন্ধ থাকবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লে-অফের আওতায় চলে যাবে এবং তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন।

এসময় তিনি মানুষের মৌলিক এবং সামাজিক অধিকার বিনষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, জীবন অমূল্য তাই আমাদের যেকোনো মূল্যে তা টিকিয়ে রাখতে হবে। সেলুন, জিম ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র রেস্তোরাঁয় হোম ডেলিভারি চালু থাকবে। সুপারমার্কেট ও ফার্মাসি খোলা থাকবে কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রয়োজনীয় নিদর্শনা মেনে চলতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ