‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধারে’ সাহায্য করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াং সোমবার আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর কূটনীতিকদের বলেন, ‘আসুন আমরা গাজার পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একসাথে কাজ করি।
ওয়াং আরো বলেন, গাজায় একটি মানবিক বিপর্যয় ঘটছে যা বিশ্বের সমস্ত দেশকে প্রভাবিত করছে।
এ বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, ইসরাইলকে রুখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে।
সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন ও অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের কর্মকর্তারা একটি সফরের অংশ হিসাবে চীনে রয়েছেন। তারা গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং এই অঞ্চলে আরো মানবিক সহায়তা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
এই প্রতিনিধি দলটি জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার পরিকল্পনা করছে এবং তারা গাজায় আত্মরক্ষার দাবিতে ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সেটি প্রত্যাখ্যান করানোর জন্য পাশ্চাত্যের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে।
এর আগে এই মাসের শুরুর দিকে সৌদি আরব আয়োজিত আরব-ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনে গাজা অবরোধের অবসান, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানানো হয়।
একই সাথে ওই সম্মেলনে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার সরকার কর্তৃক অমানবিক গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও বর্বরতা চলছে জানিয়ে এর নিন্দা জানানো হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা