হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে, যা ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ২০২৪ সালে যারা পবিত্র হজ করতে ইচ্ছুক এবং প্রাক নিবন্ধন করেছেন তারাই চূড়ান্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যারা প্রাক নিবন্ধন করেছেন তারাই আগামী বছর হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। ন্যূনতম ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন। বাকি টাকা ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধাপে ধাপে জমা দেয়া যাবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, এজেন্সি এবং এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাওয়া যাত্রীরা, ২০২৪ সালে হজে গমনের জন্য বিমানের ভাড়া ও সৌদি আরব পর্বের ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে হজের নিবন্ধন এজেন্সির অফিসে জমা দিয়ে মানি রিসিপ্ট গ্রহণ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রাক নিবন্ধন করতে হবে।
বেসরকারি পর্যায়ে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম। তিনি জানান, প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। যা ২০২৩ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজের চেয়ে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কম। আর দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।