ব্যালন ডি’অরে শেষ হয়েছে মেসি-রোনালদো রাজত্ব। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার নেই দুই সুপার স্টারের নাম। তাইতো আসতে যাচ্ছে নতুন উত্তরসূরী। আলোচনা তুঙ্গে- কার হাতে উঠবে এবারের ব্যালন ডি’অর?
ট্রফি জয়ের দৌড়ে আছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, তারই ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম এবং স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। তবে, আলোচনায় অনেকটাই এগিয়ে ভিনিসিয়াস। কারণ, গত মৌসুমে দারুণ ছন্দে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। দলকে এনে দিয়েছেন একের পর এক সাফল্য। স্বীকৃতি হিসেবে, সোনালী বল ভিনিসিয়াসের হাতেই মানায়- দাবি স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা’র।
গত মৌসুমে, রিয়ালের হয়ে লা লিগা, সুপার কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন ভিনিসিয়াস। সব প্রতিযোগিতায় তার ঝুলিতে ২৪ গোল; অ্যাসিস্ট করেছেন ১১টিতে। মাঠে প্রতিপক্ষের উপর রীতিমত ছড়ি ঘুড়িয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। ম্যাচে প্রভাব বিবেচনা করলেও, বাকিদের তুলনায় এগিয়ে ভিনি। তাই, শিষ্যের ‘ব্যালন ডি অর’ প্রাপ্তি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, কোচ কার্লো আনচেলত্তির।
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, নিঃসন্দেহে ব্যালন ডি’অর ভিনিসিয়াসের প্রাপ্য। চ্যাম্পিয়নস লিগে সে যা করে দেখিয়েছে এবং আমাদের জেতার জন্য যেভাবে সে সাহায্য করেছে, সে জন্য এটা তার প্রাপ্য। আমার মনে হয় এই পুরস্কারটি তারই পাওয়া উচিত।
রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পেছনে বড় অবদান রাখেন ভিনি। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছেন তিনি। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ব্যালন ডি’অর জেতার দাবিদার হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
এ প্রসঙ্গে কার্লো আনচেলত্তি বলেন, গত মৌসুমে সে যা করেছে, যে কার্যকারিতা সে দেখিয়েছে, বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে, সেটা দারুণ ছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোলও করেছে সে।
আগামী ২৮ অক্টোবর, বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হবে ব্যালন ডি’অর। ভিনির হাতে এই সোনালি ট্রফি উঠলে ঘুঁচবে ব্রাজিলের ১৭ বছরের আক্ষেপ।