পাকিস্তানে ইতিহাস গড়ে দেশে ফেরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শান মাসুদের দলকে টাইগাররা করে হোয়াইটওয়াশ। সেই সুখস্মৃতি নিয়ে ভারত সফরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু এবার মুদ্রার অন্যপিঠ দেখল টাইগাররা, হোয়াইটওয়াশ হলো নিজেরাই।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে কানপুরে ভারত জয় তুলে নিয়েছে ৭ উইকেটে। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা।
গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে টেস্টের পঞ্চম দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র ৯৫ রান। ১৭ ওভার ২ বলেই ৩ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রোহিত শর্মার দল। মিড অনের ওপর দিয়ে চার মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন রিশাব পন্ত। ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন বিরাট কোহলি।
তবে পন্তকে নামতেই হতো না, যদি না ফিফটি করেই বিদায় নিতেন যশস্বী জয়সোয়াল। জয়ের জন্য ভারত যখন ৩ রান দূরে, তখন তাইজুল ইসলামকে উইকেট দেন এই ওপেনার। এর আগে, রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিলকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। বড় শট খেলতে গিয়ে ৮ রানেই ফেরেন রোহিত। অন্যদিকে, ৬ রান করা গিল এলবিডব্লুউ হন।
বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে ২৬ রান নিয়ে। তখনও ভারতের থেকে সফরকারীরা পিছিয়ে ২৬ রানে। এদিন লিড নিলেও সেটা লড়াইয়ের জন্য মোটেও পর্যাপ্ত ছিল না। একমাত্র প্রাপ্তি সাদমান ইসলামের ফিফটি। প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে ভারতের মাটিতে ফিফটি তুলে নেওয়া সাদমান ফিরতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানেই।
সাদমান ফেরেন ঠিক ৫০ রান করে। এর আগে, দিনের শুরুতেই ২ রান করে বিদায় নেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কাটা পড়েন ১৭ রানে। এরপর রবীন্দ্র জাদেজার পরপর দুই ওভারে ফেরেন লিটন দাস (১) ও সাকিব আল হাসান (০)। প্রতিরোধ গড়তে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও (৯)। শেষ ব্যাটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম ফেরেন ৩৭ রান করে।
ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অপর উইকেটটি আকাশ দীপের।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে টেস্টকে টি২০ বানিয়ে ৩৪ ওভার ৪ বল খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।