অনেকে নামাজ আদায় করতে গিয়ে কত রাকাত পড়া হলো তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আদায়কৃত নামাজ তিন রাকাত হলো না চার রাকাত হলো- বিষয়টি মনে করতে পারেন না। ফলে কেউ সন্দেহ নিয়ে নামাজ শেষ করেন। আবার কেউ নতুন করে নামাজ আদায় করে থাকেন। সেই সমস্যার সমাধান দিয়েছে তিরমিজি শরিফের একটি হাদিস।
আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ নামাজে ভুল করে, যখন সে বলতে পারে না সে এক রাকাত, দুই রাকাত না তিন রাকাত আদায় করেছে। সেটি ঠিক করতে না পারলে দুই রাকাতকে ভিত্তি ধরবে। আর যদি তিন রাকাত আদায় করেছে না চার রাকাত আদায় করেছে সেটি বুঝতে না পারে, তবে তিন রাকাতকে ভিত্তি ধরবে। এ ক্ষেত্রে সালাম ফেরানোর আগে দুই সেজদা করতে হবে। (তিরমিজি, ৩৯৮)
যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহলে যেদিকে তার মন বেশি সায় দেবে, সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তবে কমটির ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে এবং শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৮৮)
নামাজ পড়ার সময় রাকাতসংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে এবং এই সন্দেহ প্রথমবারের মতো হলে ওই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় পড়া আবশ্যক। (ইবনে আবি শায়বা : ২/২৮)
কারো যদি নামাজের পর দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, কিছু রাকাত পড়া হয়নি আর এমন অবস্থায় সে যদি সালাম ফিরিয়ে ফেলে, তাহলে সে নামাজপরিপন্থি কোনো কাজ না করে থাকলে- ছুটে যাওয়া রাকাত পড়ে দেবে। যদি নামাজপরিপন্থি কোনো কাজ করে ফেলে, তাহলে ওই নামাজ পুনরায় পড়বে। (ইবনে আবি শায়বা : ২/২৪)