শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিরি ওপর নজর রাখছে ভারত। এ ছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে করণীয় নির্ধারণে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তার দেশের সব দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) সব দলের সঙ্গে আলোচনায় জয়শঙ্কর বাংলাদেশের সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে সম্ভব্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
বৈঠকে জয়শঙ্কর সংসদ সদস্যদের বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে ধরনের পরিস্থিতি চলছে, তার মধ্যে তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বর্তমানে দিল্লিতে থাকা শেখ হাসিনাকে ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য ভারত আরও সময় দিতে চায় বলে জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। শেখ হাসিনা কী পরিকল্পনা গ্রহণ করবে সেটি জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘটনার ওপর ভারত নজর রাখছে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
ওই বৈঠকে জয়শঙ্করের সঙ্গে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজ্জু উপস্থিতি ছিলেন।
এদিকে কারফিউ জারির মধ্যেও সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামে আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতির সামাল দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান তিনি।
তার পদত্যাগের পরই সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, দ্রুতই অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এজন্য আন্দোলনকারীদের তিনি শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
সোমবার শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে আগরতলা থেকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়ানবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবরতণ করেন। যেটি দিল্লি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল তাদের সঙ্গে দেখা করেন।