সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় আরও ছয় বাংলাদেশি নিহতের খবর পাওয়ার গেছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) নিহতের সংখ্যা বাড়ার খবর নিশ্চিত করেন সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব (শ্রম) আরিফুজ্জামান ।
নিহত নতুন ছয়জন হলেন- খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসাইন, সাকিব এবং রানা মিয়া। তাদের নাম জানা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি।
মঙ্গলবার(২৮মার্চ) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছিল, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় নিহত মোট ২৪ জনের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি।
নিহত আটজন হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের শরিয়তউল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদ নগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি।
বুধবার(২৯ মার্চ) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন নতুন করে আরও পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজারের মহেশখালীর শাফাতুল ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কোতোয়ালির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এবং যশোরের রনি।
গত সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে আগাবত শার নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আভা জেলায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের যাত্রী নিয়ে রুবা আল হিজাজ পরিবহন কোম্পানির একটি বাস সন্ধ্যায় মক্কার উদ্দেশে রওনা হয়।
ব্রেক সিস্টেমের ত্রুটির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এবং আগুন ধরে যায় বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।