ডায়াবেটিসের সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। এ রোগে ভুক্তভোগীদের সবসময়ই একটা ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে চলতে হয়। ডায়াবেটিস রোগের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্যের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীকে অনেক নিয়মকানুন মেনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
পবিত্র রমজান মাসে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে আর খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। আমাদের ইফতারের খাদ্যতালিকায় সাধারণত ফিরনি, হালুয়া, জিলাপি, বুন্দিয়া, দই, মিষ্টি ছাড়াও অনেক মিষ্টিজাতীয় ফল থাকে। এ খাবারগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরিসমৃদ্ধ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শরবত রয়েছে। ছোলা-মুড়ি, হালিমসহ আরও কত বাহারি খাবারের প্রাচুর্য থাকে ইফতারে। ভাজাপোড়ার কথা বাদই দিলাম। এসব মিলিয়ে পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ করায় ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।
অনেকে ডায়াবেটিস রোগীই রোজার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা যেন সঠিক চিকিৎসা পান এবং চিকিৎসকরা যেন তাদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারেন, সে জন্য রোজার সময় ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর একটা গাইডলাইন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আরও নানা জটিলতায় পড়েন।
চিনির তৈরি মিষ্টি খাবার, ময়দা-জাতীয় নাশতা বা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় যোগ করুন তন্তু-জাতীয় শর্করা, গোটা শস্যদানা, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগীরা যখনই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণ অনুভব করবেন, তখনই তারা গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করবেন। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া মানে প্রতি লিটারে ৩ দশমিক ৯ মিলি মোলের নিচে নেমে গেলে চিনির শরবত খেয়ে রোজা ভেঙে ফেলবেন।
যেসব ডায়াবেটিস রোগী ইনসুলিন নেন, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তা সমন্বয় করে নেবেন।