রমজান হলো ত্যাগের মাস। রমজান ইবাদত-বন্দেগির মাস। পবিত্র রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে।এক সপ্তাহও বাকি নেই। কয়দিন পরই আল্লাহ তাআলার রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাতসহ অনেক কল্যাণের মাস রমজানুল মোবারক শুরু হবে।
মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। মাসটি বছরের অন্যান্য সময়ের মতো নয়। সারা বছরের রুটিনের সঙ্গে এ মাসটির কোনো মিল নেই। তাই সবটা সামলে উঠতে অনেকেরই অনেক বেগ পেতে হয়। অতিরিক্ত কাজের চাপে ইবাদাতেও বিঘ্ন ঘটে অনেকের। তাই পুরো রমজান মাসজুড়ে চাপমুক্ত থাকতে হলে একটু কৌশলী হতে হবে। সময়ের কাজ সম্পন্ন হবে সময়েই।
বাজার করে রাখা:
রোজা রাখার কারণে দিনের বেলা ক্লান্তি লাগাটা খুব স্বাভাবিক। তাই রোজা রেখে খুব বেশি কাজও করা সম্ভব হয় না। সে কারণে আগেভাগে বাজার করে রাখতে পারলে রোজার সময় কষ্ট করতে হবে না। তাই রমজানে কোন খাবারগুলোর দরকার হবে তা মনে করে একটি তালিকা তৈরি করুন। সেই অনুযায়ী বাজার করে ফেলুন। এতে কষ্ট কম হবে এবং সময়ও বাঁচবে। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত কেনাকাটা যেন না হয়।
কাজ এগিয়ে রাখা:
ইফতারে নানা রকম খাবার খেতে সবাই পছন্দ করেন। সেজন্য কিছু কাজ আগেই এগিয়ে রাখাই ভালো।যেমন বিভিন্ন ফ্রোজেন আইটেম তৈরি করে রাখতে পারেন ইফতারে খাওয়ার জন্য। শরবত তৈরির জন্য সিরাপ তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে ইফতারের সময় তাড়াহুড়ো লাগবে না। খুব সহজেই কাজ শেষ করতে পারবেন।
আগেভাগেই ঘরবড়ি পরিষ্কার রাখা:
এটি একটি বড় কাজ। যদিও আমরা তা বুঝতে পারি না। রোজা রেখে বাড়ি-ঘর, কাপড় ইত্যাদি পরিষ্কার করতে কষ্ট বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগেই পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো সেরে নিন। যে জিনিসগুলো রোজার মাসে বেশি প্রয়োজন হবে, গুলো পরিষ্কার করে রাখুন। সবকিছু পরিষ্কার থাকলে আপনার মনও সতেজ থাকবে। ইবাদাতে মন দেয়ার সময় পাবেন।
বাড়ির ছোটদের বিষয়টিও মাথায় রাখা:
রোজা রাখা শিশুদের বাধকতামূলক নয়। আপনি রোজা রাখছেন বলে শিশুর খাবারের প্রতি উদাসীন হবেন না। এতে সে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। শিশু রোজায় কী খাবে, তা আগেভাগেই চিন্তা করে রাখুন। সেই অনুযায়ী বাজার করা এবং তার খাবারগুলো গুছিয়ে রাখার কাজটিও আগে সেরে নিতে পারেন।