spot_img

রোজা সামনে, লাফিয়ে বাড়ছে ফল, মাছ-মাংস সবজির দাম

অবশ্যই পরুন

ডলার সঙ্কটে এলসি বন্ধ থাকায় বিদেশি ফল আমদানি কমে এসেছে। ফলে বাজার এখন দেশি ফলের দখলে। কিন্তু দেশি ফলের দামও এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। রোজা সামনে রেখে যেন আরও লাফিয়ে বাড়ছে ফলের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের চাহিদা কম-বেশি সবসময় থাকে। বিশেষ করে সুপারশপগুলোতে রয়েছে নির্ধারিত ক্রেতা। দাম যতই হোক তারা ক্রয় করে থাকেন। কিছুদিন ধরে প্রয়োজনের তুলনায় ফল আমদানি কম হওয়ায় ক্রেতারা বাধ্য হয়ে ঝুঁকছেন দেশি ফলের দিকে। চাহিদা বেশি থাকায় দেশি ফলের দামও কিছুটা বেশি।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, রোজা আসতে না আসতেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে ফলের বাজার। এক মাস আগেও দাম সহনশীল ছিল বলছেন তারা। বর্তমান বাজারে ফল জনসাধারণের নাগালে নেই। যেন রোজা সামনে রেখে উৎসব করে বাড়ানো হয়েছে দাম। রোজায় বেড়েছে- এমন প্রশ্ন যেন কেউ তুলতে না পারে।

এদিকে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মাংস। আসন্ন রোজার আগে বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ছোলার দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতারা বলছেন, ‘সবজিভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা করে।’

যাত্রাবাড়ীর বাজার সুত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে তুলনামূলক প্রায় প্রতিটি সবজিরই দাম বেড়েছে। সজনে ডাটা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, করলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে। কেজিপ্রতি সিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু (পোলান্ড) ৩০, দেশি ছোট আলু ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা এবং বরবটি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও কাঁচামরিচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, ফুলকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।

এদিকে বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ২৪০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, অন্যান্য মুরগির দাম ২০-৫০ টাকা বেড়ে পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৮০ টাকা ও বড় কক মুরগি ৩২০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশি মুরগির দাম এখন প্রতি পিস (৮০০-৯০০ গ্রাম) ৫০০-৫৫০ টাকা।

তবে, ছোলার দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা। যা আগে ৯০-১০০ টাকা ছিল। অন্য কোনো পণ্যের দাম কমতে দেখা যায়নি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল কেজি প্রতি ১৩৫-১৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০-৯০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫-৮৫ টাকা এবং বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনৈতিক ও ধর্মের অপব্যবহার অব্যাহত রাখতে শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধিতা: দীপু মনি

ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে মগজ ধোলাই অব্যাহত রাখা এবং রাজনৈতিক কারণে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ